সংক্ষিপ্ত
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্টের (সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি) অধিবেশন চলাকালীন বলেছিলেন যে পিয়ংইয়ং আমেরিকা ও তার বন্ধুদের কাছ থেকে আসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনে উত্তর কোরিয়া এখন তার সংবিধানে পরমাণু অস্ত্রের দ্রুত বিকাশের নীতি অন্তর্ভুক্ত করেছে। এখন আইনটি হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের ভাঁড়ার আরও দ্রুত বাড়তে পারে। উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন আমেরিকা উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে ফেরার আবেদন জানাচ্ছে। এই কথোপকথনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি না চালানোর জন্য আমেরিকার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথা।
কিম জং উনের বক্তব্য
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্টের (সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি) অধিবেশন চলাকালীন বলেছিলেন যে পিয়ংইয়ং আমেরিকা ও তার বন্ধুদের কাছ থেকে আসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তাই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করার ইচ্ছার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক বলেছিলেন যে 'উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি প্রস্তুত করার নীতি এখন দেশের মৌলিক আইনের মতো স্থায়ী করা হচ্ছে, যা কাউকে লঙ্ঘন করতে দেওয়া হবে না।' উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদনের গতি আরও বাড়াতে পারে এবং পারমাণবিক হামলার ক্ষমতাকে বৈচিত্র্যময় করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামরিক পরিষেবায় তাদের মোতায়েন করার ওপর জোর দিয়েছেন।
রাশিয়া থেকে সাহায্য আসতে পারে
কিম জং উন সম্প্রতি রাশিয়া সফর থেকে ফিরেছেন, যেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করেছেন। রাশিয়া সফরে কিম জং উন অনেক অস্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানির প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। কিম জং উনের এই সফর এমন এক সময়ে হয়েছে যখন ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করেছে আমেরিকা। বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য এই চুক্তির আওতায় পাওয়া উপাদান ব্যবহার করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।