- Home
- World News
- International News
- লকডাউনের সময়ে কমে যাওয়া বায়ুদূষণের হার বাঁচাতে পারে হিমালয়ের হিমবাহ-গবেষণায় প্রকাশ
লকডাউনের সময়ে কমে যাওয়া বায়ুদূষণের হার বাঁচাতে পারে হিমালয়ের হিমবাহ-গবেষণায় প্রকাশ
একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে বায়ু দূষণকে যদি করোনা মহামারীর মাত্রায় কমিয়ে আনা যায়, তবে এটি হিমালয়ের হিমবাহগুলিকে বাঁচাতে পারে। নয়তো এই শতাব্দীর শেষে বিলুপ্ত হয়ে যেতে চলেছে হিমালয়ের সবকটি হিমবাহ।
- FB
- TW
- Linkdin
একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দল দাবি করেছে যে বায়ু দূষণকে যদি করোনা মহামারীর মাত্রায় কমিয়ে আনা যায়, তবে এটি হিমালয়ের হিমবাহগুলিকে বাঁচাতে পারে।। এই দলে ভারত, জার্মানি ও ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা রয়েছেন।
গবেষকদের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ২০২০ সালে যখন করোনা লকডাউন জারি করা হয়েছিল, তখন বাতাস পরিষ্কার ছিল এবং হিমালয়ের হিমবাহও কম গলেছিল।
গবেষণায় জানা গেছে, করোনা লকডাউনের সময় হিমবাহ প্রতিদিন ০.৫-১.৫ মিমি কম তুষার গলেছে। জেনে রাখা ভালো যে হিমালয়ের হিমবাহ দ্রুত গলে যাওয়া এবং তুষার আচ্ছাদন হ্রাসের কারণে এশিয়ার কোটি কোটি মানুষের জন্য জল সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা লকডাউনের মাত্রায় বায়ু দূষণ কমে গেলে হিমবাহ গলে যাওয়ার গতি অর্ধেক হয়ে যেতে পারে। এতে ভারত ও চিনে হিমবাহ গলে যাওয়ায় জলের ঘাটতি হতে পারে।
এই গবেষণাটি বিজ্ঞান পত্রিকা 'Atmospheric Chemistry and Physics'-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি এবং পরিবহনে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
জেনে রাখা ভালো যে হিন্দুকুশ হিমালয় এবং তিব্বতের পর্বত মেরুগুলি ছাড়াও, মধ্য এশিয়ায় সর্বাধিক তুষার আচ্ছাদিত অঞ্চল রয়েছে। এই তুষার আচ্ছাদন থেকেই জল গলে ভারত ও চিনের নদীতে প্রবাহিত হয়।
হিমবাহ গলে যে জল নদীতে আসে তা এই দেশগুলোর কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং অর্থনীতি পরিচালনায় সহায়তা করে। এখন যে হারে হিমবাহ গলছে, তাতে একবিংশ শতাব্দীর শেষ নাগাদ সব হিমবাহ গলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।