সংক্ষিপ্ত

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে বর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পারমাণবিক হামলার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হচ্ছে। আমেরিকা কিভ দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে, সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। 

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বিগত ১০০০ দিন ধরে চলা যুদ্ধ থামার নাম নিচ্ছে না। এরই মধ্যে, কিছু এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যা থেকে মনে হচ্ছে রাশিয়া এখন ইউক্রেনের উপর কোনও বড় ধরনের আক্রমণ করতে পারে। এ কারণেই আমেরিকা যেখানে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে তার দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে তিনটি দেশ তাদের নাগরিকদের নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক সতর্কতা জারি করেছে

রাশিয়া-ইউক্রেনে বর্ধমান উত্তেজনা দেখে নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সবাই যেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করে রাখে। এছাড়াও এই দেশগুলি তাদের সৈন্যদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। উল্লেখ্য, এই সমস্ত দেশের সীমানা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে লাগোয়া। এমতাবস্থায়, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের উপর পারমাণবিক আক্রমণ করে, তাহলে তার প্রভাব এদের উপরেও পড়তে পারে।

পরচা বিলি করে নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে

নরওয়ে এবং সুইডেন তাদের নাগরিকদের পরচা বিলি করে যুদ্ধের জন্য সতর্ক থাকতে বলেছে। এই পরচায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পারমাণবিক আক্রমণের সময় তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেন আয়োডিনের ট্যাবলেট রাখে।

আমেরিকা তার কর্মীদের সতর্ক করেছে

অন্যদিকে, আমেরিকা কিভে অবস্থিত তার দূতাবাসের কর্মীদের কোনও নিরাপদ স্থানে যেতে বলেছে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে থাকা আমেরিকান নাগরিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি ইউক্রেনকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে এবং প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভেতরে আক্রমণ করতে বলেছে। এর পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেনে উত্তেজনা তুঙ্গে।

পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়ার দাবি

ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে রাশিয়া বেশ ক্ষুব্ধ। ফলাফল ভোগ করার সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, যদি হামলা বন্ধ না হয়, তাহলে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দ্বিধা করব না।

বাইডেন আগুনে ঘি ঢেলেছেন

উল্লেখ্য, আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভের পর ধারণা করা হচ্ছিল যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শীঘ্রই শেষ হবে। কিন্তু জো বাইডেন ইউক্রেনকে আক্রমণের খোলা ছাড় দিয়ে আগুনে ঘি ঢেলেছেন। উল্লেখ্য, রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি নতুন পারমাণবিক নীতিতে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে সীমান্তে আরও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।