সংক্ষিপ্ত
শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত জাপান। কিন্তু জাপানের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে নিহত হয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপরেও হামলা হল।
গত বছর আততায়ীর হামলায় নিহত হয়েছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার উপর হামলা চালানো হল। শনিবার ওকায়ামা শহরে তাঁর উপর বোমা হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণের জেরে ওই অঞ্চল সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বলে জানা গিয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদেই সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। যে ব্যক্তি বোমা হামলা চালিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে পাকওড়াও করতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় জাপানে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জাপানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শাসক দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারের জন্যই জাপানের পশ্চিমাংশের শহর ওকায়ামায় যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রচার চালানোর পর তিনি যখন বক্তব্য পেশ করছিলেন, সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন সেখানে বহু মানুষ ছিলেন। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে বিপত্তি কিছু ঘটেনি।
জাপানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-তে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তারক্ষীরা এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছেন দেখে জাপানের প্রধানমন্ত্রী পিছন ফিরে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন। সেখানে থাকা লোকজন সরে যাচ্ছে। সবাই ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে গিয়েছেন। পরমুহূর্তেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং ওই অঞ্চল সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলা চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকেই গ্রেফতার করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। স্থানীয় পুলিশ অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খুলছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত। এক মহিলা বলেছেন, ‘হামলার পরেই আমি ভয়ে ছুটতে শুরু করি। ১০ সেকেন্ড পরেই বিকট শব্দ শুনতে পাই। আমার সন্তান আতঙ্কে কাঁদতে শুরু করে দেয়। আমি হতবাক হয়ে যাই। এখনও আমার আতঙ্ক কাটছে না।’ প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য পেশ করছিলেন। আমরা মঞ্চের সামনেই ছিলাম। হঠাৎ কেউ একজন চিৎকার করে বলে, অপরাধী! বোমা ছোড়া হয়েছে। এরপরেই বিস্ফোরণ হয়। সবাই দ্রুত পালাতে শুরু করে।এর ১০ সেকেন্ড পরেই নিরাপত্তাক্ষীরা অপরাধীকে ধরে ফেলেন।’
জাপানে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত আইন অত্যন্ত কঠোর। সাধারণভাবে অপরাধও কম। সেই কারণে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে ঢিলেঢালা নিরাপত্তা থাকে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচারাভিযানেও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এরই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে হামলাকারী। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নিরাপদে থাকায় সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
আরও পড়ুন-
‘কখনও কখনও কিছু না করেও দ্যাখো’, প্রত্যেকদিন প্রায় ১২ হাজার টাকা রোজগার করেন কিছু-না-করা ব্যক্তি
হিজাব বিরোধী আন্দোলনের মাঝেই 'মৃত্যু কল' ইরানে, ৭৫ শতাংশ বেড়েছে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা
বিমান হামলার দায় স্বীকার করল জুন্টা সরকার, মায়ানমারে মৃত শিশু ও মহিলা-সহ শতাধিক