সংক্ষিপ্ত

সূর্যের থেকে ধেয়ে আসা হাজার হাজার উত্তপ্ত কণা আছড়ে পড়তে চলেছে পৃথিবীর ওপর। এটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিতে পারে পৃথিবীর চৌম্বক শক্তি। বহু পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তার পাশাপাশি রয়েছে মানুষ সহ সমস্ত প্রাণীজগতের প্রাণনাশের আশঙ্কাও।

মহামারী প্রতিহত করার পর আরও বড় ধ্বংসলীলার মুখোমুখি হতে চলেছে পৃথিবী। এই নীল গ্রহের পাশাপাশি সৌর জগতের আরও বহু গ্রহের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে যে, সূর্য থেকে কোটি কোটি কণা ভেঙে ধেয়ে আসছে মানুষের গ্রহের দিকে। গবেষণায় জানা যাচ্ছে যে, প্রতি ঘণ্টায় ৩.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ৩৬ লক্ষ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর ভূমিতে আঘাত করবে এই ভয়ঙ্কর সৌরঝড়।

সূর্যের এই কণাগুলি একটি শক্তিশালী G3-শ্রেণীর ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে এটি পৃথিবীর শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের ওপর আঘাত করবে, যা পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে পারে পৃথিবীর চৌম্বক শক্তি এবং আকাশে ভয়াবহ উজ্জ্বল রঙিন আলো সৃষ্টি করতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি পৃথিবীর মাটির সঙ্গে এই ঝড় আনুভূমিকভাবে আঘাত করে, তাহলে এর দ্বারা যে ক্ষতি হবে, তা মারাত্মক ধ্বংসকারী হবে।

চলতি বছরের ৭ মে সূর্যের গায়ে একটি নতুন সানস্পট তৈরি হয়েছে। যার নাম-  রিভার্স‌ড পোলারিটি সানস্পট AR3296 । ৯ মে তারিখে সূর্য থেকে একটি প্লাজমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেই প্লাজমা, অর্থাৎ কণাগুলির একটি বড় অংশ পৃথিবীর দিকে পরিচালিত হয়েছে। সৌরঝড়ের চৌম্বক ক্ষেত্র এবং পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া দ্বারা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় হতে পারে। যখন এই চৌম্বক ক্ষেত্রগুলির সংঘর্ষ হবে, তখন তারা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের ওপর ব্যাপক তোলপাড় শুরু করবে, যা বায়ুস্তরের আয়নোস্ফিয়ার এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠের মধ্যে বৈদ্যুতিক স্রোত তৈরি করতে পারে। এই বৈদ্যুতিক স্রোতগুলি উপগ্রহ যোগাযোগ এবং পাওয়ার গ্রিডগুলিকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দেবে, সেইসাথে মেরু অঞ্চলে প্রচণ্ড উজ্জ্বল আলো তৈরি করতে পারে।

উপগ্রহ যোগাযোগ এবং পাওয়ার গ্রিডে ক্ষতি হলে সারা পৃথিবী জুড়ে নেটওয়র্ক পরিষেবা, টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিমান চলাচল সহ ছোট-বড় সমস্ত ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এইসব পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তার পাশাপাশি, উত্তপ্ত সৌর কণার আঘাতে রয়েছে মানুষ সহ সমস্ত প্রাণীজগতের প্রাণনাশের আশঙ্কাও।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার একটি শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। কেন্দ্র তার পূর্বাভাসে বলেছে, “উপগ্রহের উপাদানগুলিতে সারফেস চার্জিং ঘটাতে পারে, নিম্ন-আর্থ-অরবিট স্যাটেলাইটগুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।”
 

 

আরও পড়ুন-

আজই প্রকাশিত হল সিবিএসই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ফল, কোন লিঙ্কে কীভাবে সার্চ করলে দেখা যাবে রেজাল্ট?
টুইটারের CEO পদ থেকে সরে যাচ্ছেন এলন মাস্ক, বড়সড় ঘোষণা করলেন টুইট করেই
সাবধান! বাড়ির মূল দরজার ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি করলেই আপনার ভাগ্যে ঘনিয়ে আসবে বড়সড় বিপদ, জেনে নিন প্রধান ফটকের বাস্তু টিপস
রাজ্য পুলিশে নিয়োগ হবে মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই, কড়া নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের