সংক্ষিপ্ত

যাদের স্মার্টফোন নেই তারা সরাসরি দোকানে গিয়ে আইডি কার্ড দেখান এবং টাকা না দিয়ে কন্ডোম কিনুন। যাদের ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার কার্ড আছে তাদের সারা বছর প্রতি সপ্তাহে বিনামূল্যে কনডম দেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে ভালোবাসা দিবস ও সপ্তাহের প্রস্তুতি। জোড়ায় জোড়ায় প্রেমিক প্রেমিকাদের মনের কথা বলার দিন চলে আসছে। তবে শুধুই কি মনের কথা, তাতে শরীরও ঢুকে পড়ে চুপিসাড়ে। সেই অঘটন যাতে কারোর ক্ষতি না করে, তার জন্য থাইল্যান্ড সরকার বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবার ভালোবাসা দিবসের আগে বিনামূল্যে সাড়ে নয় কোটি কন্ডোম বিতরণ করতে চলেছে থাইল্যান্ড সরকার। থাই সরকার জানিয়েছে, এর মূল উদ্দেশ্য তিনটি – নিরাপদ যৌনতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, যৌনরোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা এবং কিশোরী অবস্থায় অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা রোধ করা। বুধবার অর্থাৎ পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই এই সরকারি উদ্যোগ শুরু হচ্ছে।

ম্যাসাজ পার্লার এবং পর্যটনের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ডে, পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই কন্ডোম বিতরণের প্রচার শুরু হয়েছে। থাইল্যান্ড সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে এই কন্ডোমগুলি যে কোনও ফার্মেসি বা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে নেওয়া যেতে পারে। থাইল্যান্ডে যাদের ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার কার্ড রয়েছে তারা এক বছরের জন্য প্রতি সপ্তাহে ১০টি কন্ডোম নিতে পারবেন। থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সিকিউরিটি অফিস বা এনএইচএসও-র সেক্রেটারি-জেনারেল জাদেজ থামমাতাচারি জানিয়েছেন, লুব্রিকেটিং জেল-সহ কন্ডোম বিতরণ করা হবে।

থাইল্যান্ড সরকার কেন কন্ডোম বিতরণ করছে?

থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সিকিউরিটি অফিস (এনএইচএসও) বলছে, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ, যৌনবাহিত রোগের বিস্তার রোধ, ক্যান্সার, এইচআইভি, সিফিলিস এবং অন্যান্য মারাত্মক রোগের সংক্রমণ রোধে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিনামূল্যে কন্ডোম পেতে, একটি আবেদনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নিজেদের স্মার্টফোন থেকেই মিলবে সেই রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় প্রক্রিয়ার তথ্য।

যাদের স্মার্টফোন নেই তারা সরাসরি দোকানে গিয়ে আইডি কার্ড দেখান এবং টাকা না দিয়ে কন্ডোম কিনুন। যাদের ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার কার্ড আছে তাদের সারা বছর প্রতি সপ্তাহে বিনামূল্যে কনডম দেওয়া হবে। তারপর নিজেদের পছন্দ মতো একটি ওষুধের দোকান, কমিউনিটি ক্লিনিক বা রাষ্ট্র পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র বেছে নিতে হবে। তারপর, সেখানে গেলেই হাতে হাতে কন্ডোম পাওয়া যাবে। আর যাদের স্মার্টফোন নেই, তারা থাই নাগরিক হিসেবে যে কোনও একটি পরিচয়পত্র দেখিয়ে নির্ধারিত পরিষেবা কেন্দ্রে বিনামূল্যে কন্ডোমের জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ২০২১ সালে এই ধরনের যে রোগে আক্রান্ত যে রোগীদের সনাক্ত করা হয়েছিল, তাদের অর্ধেকেরও বেশি আক্রান্ত ছিলেন সিফিলিস এবং গনোরিয়া রোগে। আক্রান্তদের অধিকাংশের বয়স ছিল ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।