সংক্ষিপ্ত

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্বকে প্রভূত প্রশংসা করে রাজীব চন্দ্রশেখর লিখেছেন, তরুণ ভারতীয়দের উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। 

‘বিশ্বের ২টি বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম গণতান্ত্রিক শক্তি নিজেদের কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব উন্নত করতে হাত মিলিয়েছে, এটা উদ্ভাবনীর ভবিষ্যতের পক্ষে মঙ্গলকর।’ টুইটার পোস্টে উচ্ছ্বসিত ভারতের কেন্দ্রীয় উদ্যোক্তা, দক্ষতা উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্বকে প্রভূত প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, তরুণ ভারতীয়দের উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তারপরেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা, ‘তরুণ ভারতের জন্য নতুন ভারত’ (#NewIndia4YoungIndia)।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী দুই দেশের সরকার, ব্যবসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কৌশলগত প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব এবং প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতাকে উন্নত ও প্রসারিত করে তোলার জন্য ২০২২ সালের মে মাসে মার্কিন-ভারত সমালোচনামূলক এবং উদীয়মান প্রযুক্তির (iCET) উদ্যোগের ঘোষণা করেছিলেন।

মার্কিন সংবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত একত্রে নিশ্চিত করেছে যে, প্রযুক্তির ডিজাইন, বিকাশ এবং ব্যবহার করার উপায়গুলি দুই দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সর্বজনীন মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে। দুটি দেশই পারস্পরিক বিশ্বাস এবং আস্থার উপর ভিত্তি করে একটি উন্মুক্ত, ব্যবহারযোগ্য এবং সুরক্ষিত প্রযুক্তিগত ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করবে।

ভারত এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াশিংটন ডিসিতে আইসিইটির উদ্বোধনী বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর, ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের প্রধান সহ ওই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা, এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের আধিকারিকরা। ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত, ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার মহাপরিচালক এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। উভয় পক্ষ সমালোচনামূলক এবং উদীয়মান প্রযুক্তি, সহ-উন্নয়ন এবং সহ-উৎপাদন এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম জুড়ে সংযোগের পথ আরও গভীর করে তোলার উপায়গুলিতে বৃহত্তর সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছে। এক্সপো, হ্যাকাথন এবং পিচ সেশন সহ মূল খাতে "উদ্ভাবন সেতু" প্রতিষ্ঠার মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসাবে জৈবপ্রযুক্তি, উন্নত উপকরণ এবং বিরল আর্থ প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।


 

৩০ জানুয়ারি ভারত-আমেরিকা যৌথ বিজনেস কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান, এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে ৪০ জনেরও বেশি শিল্পপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতিরা একত্রিত হয়েছিলেন। প্রযুক্তি সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ ত্বরান্বিত করতে উভয় দেশের পক্ষ থেকেই সমান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা ভারতবাসীর ভবিষ্যতের পক্ষে ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-

ফেব্রুয়ারিতেই বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, বিজেপির সাংগঠনিক ভিত মজবুত করার টার্গেট
সারা বিশ্বের মুদ্রাস্ফীতির সংকটকালে ভারতকে কতটা সামাল দিতে পারবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন? সাধারণ বাজেটে তারই পরীক্ষা
২০২৪-এর আগে লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের বাজেট পেশ, নির্বাচনী আবহে জনদরদী বাজেটের আশায় দেশবাসী