সংক্ষিপ্ত

ইজরায়েল তার সেনাকে লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে স্থল হামলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর রয়েছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের প্রধান সেনাদের উদ্দেশ্যে এসব নির্দেশ দিয়েছেন।

গত কয়েকদিনে, ক্রমাগত জঙ্গি এবং ওয়াকি-টকি হামলায় নাজেহাল হিজবুল্লা ও লেবাননের মানুষ। সারা দেশের মানুষ এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এখন ইজরায়েল এই যুদ্ধকে চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করছে। ইজরায়েল ইতিমধ্যে হিজবুল্লার বিভিন্ন ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এখন ইজরায়েল হিজবুল্লার মোকাবিলা কড়া হাতে করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে ইজরায়েল তার সেনাকে লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে স্থল হামলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর রয়েছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের প্রধান সেনাদের উদ্দেশ্যে এসব নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাপ্রধানের এই নির্দেশের পর মনে করা হচ্ছে, যে কোনো সময় ইজরায়েল হিজবুল্লার দিকে এগোতে পারে।

দেশটির উত্তর সীমান্তে ইজরায়েলি সেনার উদ্দেশে সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি বলেছেন যে 'লেবাননে প্রবেশের জন্য এবং হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করার জন্য স্থল প্রস্তুত করার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।'

তিনি বলেছিলেন যে 'উত্তর ইজরায়েলের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য অর্জনের জন্য, আমরা একটি কৌশল প্রক্রিয়া প্রস্তুত করছি।' এদিকে, সোমবার ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানায় যে তারা লেবাননে হিজবুল্লার লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ৩০০টি হামলা চালিয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছে যে জেনারেল স্টাফ আইডিএফ সদর দফতরের ভূগর্ভস্থ অপারেশন সেন্টার থেকে লেবাননে হিজবুল্লার লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে, ইজরায়েলি সামরিক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন যে সকালে প্রায় ১৫০টি হামলা হয়েছে। এসব হামলার পরপরই লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি সোমবার পূর্ব ও দক্ষিণ লেবাননে ইজরায়েলি হামলাকে ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা বলে নিন্দা করেছেন। মিকাতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন যে লেবাননে চলা ইজরায়েলি আগ্রাসন একটা ধ্বংসের যুদ্ধ এবং লেবাননের গ্রাম ও শহরগুলিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে একটি ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা। এ সময় তিনি ইজরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, সাধারণ পরিষদ ও প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।