সংক্ষিপ্ত
মার্কিন বেসরকারি সংস্থা 'ওশেনগেট এক্সপিডিশন'-র CEO স্ককটন রাশের স্ত্রী ওয়েন্ডি রাশ। এছাড়া ইসিডর স্ট্রস ও তাঁর স্ত্রী ইডা স্ট্রসের বংশধর ওয়েন্ডি।
১১১ বছর আগে টাইটানিকের কোলেই তলীয়ে গিয়েছিল তাঁর পরিজনরা। সেই অভিশপ্ত স্মৃতি উস্কে ফের সেই জাহাজের কোলেই আটকে ওয়েন্ডি রাশের স্বামী। 'RMS টাইটানিক' মানেই তাঁর পরিবারের কাছে এক বিভিষীকাময় স্মৃতি। ১১১ বছর আগে এই জাহাজই কেড়ে নিয়েছিল রাশের প্রপিতামহকে। এবার আবার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ওয়েন্ডি রাশের জীবন। একই জায়গায় কি আরও একবার তলীয়ে যাবে রাশের পরিবার?
মার্কিন বেসরকারি সংস্থা 'ওশেনগেট এক্সপিডিশন'-র CEO স্ককটন রাশের স্ত্রী ওয়েন্ডি রাশ। এছাড়া ইসিডর স্ট্রস ও তাঁর স্ত্রী ইডা স্ট্রসের বংশধর ওয়েন্ডি। ১৯১২ সালে অভিশপ্ত 'RMS টাইটানিক' জাহাজের ফাস্ট ক্লাসের যাত্রী ছিলেন এই স্ট্রস দম্পতি। ভয়াবহ সেই জাহাজ ডুবিতে সলিল সমাধি হয়েছিল ওই দম্পতির। তারপর কেটে গিয়েছে ১১১ বছর। ফের একই জীবনের স্রোত একই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে ওয়েন্ডিকে। এবার 'টাইটানিক'-এর ধ্বংসাবশেষ অভিযাত্রীদের দেখাতে সাবমেরিনে নিয়ে গিয়েছিলেন ওয়েন্ডির স্বামী স্ককটন। গত চারদিন ধরে খোঁজ মেলেনি তাঁদের ডুবোজাহাজের। এবার কী তবে টাইটানিকের বুকেই হারিয়ে যাবে ওয়েন্ডির স্বামীও?
উল্লেখ্য, নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে চারদিন কেটে গেলেও হদিশ মেলেনি ডুবোজাহাজ 'টাইটান'-এর। এদিকে সময়ের হিসেব বলছে সাবমেরিনে অক্সিজেন আর একটুও অবশিষ্ট নেই। তবে কি RMS টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষেই সলিল সমাধি পাঁচ অভিযাত্রী-সহ সাবমেরিনের? এই আশঙ্কাতেই দিন গুনছে উদ্ধারকারী দল। চারদিন কেটে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি ডুবোজাহাজের। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী। আটলান্টিকের এক বিশাল এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। অন্যদিকে প্রত্যেক মিনিটে কমছে যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা। সময়ের অঙ্ক অনুযায়ী সাবমেরিন সম্পূর্ণ অক্সিজন শূন্য হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অক্সিজন সম্পূর্ণ ফুরিয়ে গেলে যে সমস্ত পরিশ্রম বিফলে যাবে তা স্বীকার করেছে কোস্ট গার্ডের অফিসাররাও।
বৃহস্পতিবার ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক জানিয়েছেন,'প্রতি আধঘন্টা অন্তর আমরা সমুদ্রের গভীরে থেকে সংকেত শব্দ পাচ্ছিলাম। আমরা নিশ্চিত ওই শব্দ নিখোঁজ সাবমেরিন 'টাইটান'-এর থেকেই পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু হিসেব অনুযায়ী ডুবোজাহাজে আর এক ফোঁটা অক্সিজেনও অবশিষ্ট নেই। আগামী আধ ঘন্টায় ফের সংকেত না পেলে সব আশা শেষ বলেই ধরে নিতে হবে।'