সংক্ষিপ্ত
তুরস্কের সীমান্ত লাগোয়া যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় ভূমিকম্পের প্রাবল্যে ইতিমধ্যে প্রায় ৭১৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা অগুন্তি।
সোমবার সারা দিন জুড়ে মধ্য তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আঘাত হেনেছে একের পর এক শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প। কম্পনের জেরে এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুপুর দেড়টা নাগাদ ৭.৭ মাত্রার আরও একটি জোরালো ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে গেছে বলে সূত্রের খবর।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার মতে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। ১৯৯৯ সালের পর দেশের এতও বড় ভয়াবহ ভূমিকম্প হল, স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, তুরস্কের সীমান্ত লাগোয়া যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় ভূমিকম্পের প্রাবল্যে ইতিমধ্যে প্রায় ৭১৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা অগুন্তি।
সোমবার ভোরবেলা থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনটি বড় (রিখটার স্কেলে ৭.৮, ৭.৬ এবং ৬.০ মাত্রার) কম্পনের জেরে আজ তুরস্কে ২৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং দেশ জুড়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। মৃত্যু এবং ধ্বংসের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতেও। ৭.৮ মাত্রার প্রথম ঘাতক কম্পনটি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর শেষ দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
প্রথম ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগির কাছে। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে নিকটবর্তী কাহরামানমারাস প্রদেশের একিনোজুর কাছে এবং তৃতীয়টি কাহরামানমারাস প্রদেশের গোকসুনের কাছে আঘাত হানে।
তুরস্কের এই ভয়াবহ সংকটকালে ভারতসহ পৃথিবীর আরও অন্যান্য দেশ থেকে ছুটে এসেছে সাহায্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তুরস্কের ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। তড়িঘড়ি তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে সরকারি উদ্ধারকারী দল, মেডিকেল টিম ও ত্রাণসামগ্রী। “ভারত তুরস্কের জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং এই দুঃখজনক ঘটনা মোকাবিলা করতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে”, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আরও পড়ুন-
ভোরবেলার পর দুপুর ১টা, সোমবার দ্বিতীয় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক! দেশ জুড়ে মৃত্যুর হাহাকার
আমার বাড়িতে কোনও পুরুষ ঢোকে না, অথচ ওনারা লিভ ইন করেন: শোভন-বৈশাখীকে ফের কটাক্ষ রত্না চট্টোপাধ্যায়ের