সংক্ষিপ্ত

মৃতদেহের সংখ্যার অনুপাতে কবর খোঁড়ার লোকের অভাব। গোরস্থানের পাশে অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বাস করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। 

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পস্থলে উদ্ধারকাজ এখনও জারি আছে। এলাকা শান্ত, নিস্তব্ধ করে দিয়ে চিৎকার করে সাড়া চাইছেন উদ্ধারকারীরা। কংক্রিটের স্তূপের মধ্যে থেকে পাওয়া যাচ্ছে প্রাণের স্পন্দন। কিন্তু, তার পরিমাণ খুবই ক্ষীণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেরিয়ে আসছে নিঃস্পন্দ শব। গোটা দেশ জুড়ে এখন শবদেহের স্তূপ। গণকবরেও ঠাঁই দিতে পারছে না প্রশাসন।


 

১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৩৬ হাজার। অথচ আঞ্চলিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও অবদি কবর দেওয়া গেছে মাত্র ৭ হাজার জনকে। তুরস্কের মারাশ শহরের কবরস্থানগুলি অনেক আগেই ভর্তি হয়ে গিয়েছে, আর জায়গা না থাকায় ভূমিকম্পে মৃতদের দেহ কবরস্থ করার জন্য নতুন কবরস্থান খুলেছে প্রশাসন। সেখানে গণকবর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, ধীরে ধীরে সেখানেও ফুরিয়ে আসছে ঠাঁই। এখনও পড়ে রয়েছে অগুন্তি মৃতদেহ।


 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রিয়জনের মৃতদেহ কবর দিতে মাটি খুঁড়ছেন পরিবারের মানুষরাই। জীবিত পরিজনকে বিদায় দিয়েও আঁকড়ে ধরছেন নাম লেখা কবরের স্তম্ভ। কফিনের প্রস্তুতিতেও অভাব স্পষ্ট। প্লাস্টিকের কভারে মুড়ে পড়ে আছে বহু মানুষের দেহ।


 

একই ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সিরিয়াতেও। দিন-রাত এক করে কবর খোঁড়ার কাজে লেগে রয়েছেন বিধ্বস্ত দেশের মানুষ। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ধ্বংসীভূত ইদলিবের সারাকিব অঞ্চলে চলছে গণকবর খোঁড়ার কাজ। শবদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো সাহায্যকারীর অভাবে মোটরবাইকে চড়েও মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেখা গেছে বহু নাগরিককে।

 


 

আরও পড়ুন-

ভালোবাসা দিবসেই শহীদ হয়েছিলেন পুলওয়ামায় কর্তব্যরত ভারতীয় সেনারা, তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোর কাজে একাধিক খামতি, তড়িঘড়ি গাফিলতি পূরণের নির্দেশ রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের

ভ্যালেন্টাইন ডে-তে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে পাশে বসিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার আগে জেনে নিন, কত হল আজকের পেট্রোল-দর