সংক্ষিপ্ত
অরেঞ্জ লাইন পরিদর্শন করে বেশ কতগুলি জায়গায় ত্রুটি খুঁজে পান রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। জরুরি ভিত্তিতে সেই ত্রুটিগুলি শুধরে নেওয়ার বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথে নির্মীয়মাণ মেট্রো লাইনে আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা এখনও প্রস্তুত নয় কেন? যাত্রীদের জন্য পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রে দরকারি পরিকাঠামোতে আপস করা নিয়ে উঠছে জোরালো প্রশ্ন। একটি ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার জন্য রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র মিলেছে। সেই ছাড়পত্র এলেও এখনও একাধিক জরুরি কাজ সম্পূর্ণ করা বাকি, তিন মাসের মধ্যে আপডেট দিতে হবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারকে। কারণ, এই ছাড়পত্রের বৈধতা থাকবে ওই সময় পর্যন্তই।
রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রোর কবি সুভাষ স্টেশনে ইন্টার-লকিংয়ের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত শুধু দু’নম্বর লাইন (নিউ গড়িয়া থেকে রুবির দিকে আসার সময়ে ডান দিকের লাইন) ব্যবহার করে পরিষেবা চালু রাখা যাবে। লাইনে ট্রেনের গতি হতে হবে ঘণ্টায় সর্বাধিক ৫০ কিলোমিটার, পয়েন্টের কাছে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার। পরিষেবা শুরু করার আগে পাঁচটি স্টেশনেই ঢোকা-বেরোনোর পথ ছাড়াও আলো এবং ভেন্টিলেশনের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
পরিদর্শনের সময় খামতি হিসেবে বলা হয়েছে, সত্যজিৎ রায় স্টেশনে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ করেনি। আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে দমকলকর্মীদের যাওয়ার পৃথক পথ নেই। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বেরিয়ে আসার পথ এবং সাধারণ প্রস্থান-পথ পৃথক রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে দমকলের ছাড়পত্র নেওয়ার কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। ভূমিকম্পের পরিস্থিতিতে তীব্রতা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় উপায়ে যাতে পরিষেবা বন্ধ করা যায়, সেই ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। স্টেশনের চলমান সিঁড়ি নিয়েও মতামত জানিয়েছেন কমিশনার। বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি এসক্যালেটরকে রাখতে হবে সিসি ক্যামেরার আওতায়। স্টেশনের কন্ট্রোল রুম থেকে যাতে মনিটরে সেই ছবি দেখা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে চলমান সিঁড়ি নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্তও রাখতে হবে।
রিপোর্ট বলছে, উত্তর-দক্ষিণ (ব্লু লাইন) এবং নিউ গড়িয়া-রুবি (অরেঞ্জ লাইন) পথের যে সব যাত্রী এক দিক থেকে অন্য দিকের মেট্রো ধরবেন, তাঁদের যাতায়াতের পথ চওড়া নয়। এই সমস্যার সমাধানে ব্লু লাইনের আপ প্ল্যাটফর্ম থেকে অরেঞ্জ লাইনের স্টেশন পর্যন্ত একটি ফুটব্রিজ তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের পরিদর্শনের সময়ে মেট্রোপথের বিভিন্ন স্তম্ভের পাইলিং পরীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়েনি। কোনও সরকারি সংস্থাকে দিয়ে ওই পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। ত্রুটি ধরা পড়েছে একটি স্তম্ভের বেয়ারিংয়ে। অনেক ক্ষেত্রে নকশা অনুযায়ী গার্ডার আর্চ আকৃতির হয়নি। যা গাফিলতি বলে মানছেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। ওই সব গার্ডার পরীক্ষার নির্দেশ দেন তিনি। পরিষেবা শুরুর আগে ট্রেন চালানোর জন্য বিদ্যুতের জোগান দেওয়ার সাব-স্টেশন এবং থার্ড রেলে বিকিরণজনিত সমস্যা আছে কি না, তা দেখার জন্য ইলেক্ট্রিক্যাল ইনস্পেক্টর জেনারেলের ছাড়পত্র নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে পাশে বসিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার আগে জেনে নিন, কত হল আজকের পেট্রোল-দর
বিদায়ের পথে পা বাড়িয়েছে সাময়িক শীত, তার আগে মঙ্গলবার কমে গেল কলকাতার তাপমাত্রা
দেশজুড়ে হু হু করে কমছে জনসংখ্যা, ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সি পুরুষদের শুক্রাণু কিনতে আগ্রহী চিন সরকার