সংক্ষিপ্ত
- করোনার কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল
- অবশেষে মরু দেশে বসে কোটপতি লিগের আসর
- সফল আইপিএল আয়োজন করে প্রশংসি ইউএই বোর্ড
- আইপিএল করে প্রতুর লক্ষ্মীলাভ হল এমিরেটস বোর্ডেরও
শেষ হয় গিয়েছে আইপিএল ২০২০। পঞ্চমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির সৃষ্টি করেছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল। এই করোনা আবহে সফলভাবে এত বড় মাপের প্রতিযোগিতা আইপিএল আয়োজন করার জন্য বিসিসিআই ও প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশাসায় পঞ্চমুখ ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু শুধু বিসিসিআই নয়, প্রশংসা প্রাপ্য এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডেরও। কারণ পুরো পৃথিবী যখন করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত, তখন একশো শতাংশ নিশ্চিতভাবে সফল টুর্নামেন্ট করার আশ্বাস দিয়োছিল একমাত্র ইউএই ক্রিকেট বোর্ডই।
গত মার্চের ২৯ তারিখ থেকে হওয়ার কথা ছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের। কিন্তু করোনার কারণে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। তারপর প্রতিযোগিতা একপ্রকার হবে না বললেই ধরে নিয়োছিল সকলে। কিন্তু বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আইপিএল করার। তা না হলে ৪ হাজার কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়তে হত বিসিসিআইকে। সেই সময় ভারতীয় বোর্ডকে ইউএই থেকেই প্রথম প্রস্তাব দেয় আইপিএল করার সে মরু দেশে করার জন্য। অবশেষে সেই প্রস্তাবেই সাড়া দিয়েই সম্পন্ন হলে আইপিএল ২০২০। আর এজন্য বিসিসিআই আরব আমিরশাহীর ক্রিকেট বোর্ডকে কত টাকা দিয়েছে তা জানলে চমকে উঠবেন। ১৪ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এমনটাই দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যম মুম্বই মিরর।
এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের সাফল্যের সঙ্গে আইপিএল আয়োজন করায় আশ্বস্ত বিসিসিআইও। পরের আইপিএলের জন্যও হাতে আর বেশি সময় নই। সঠিক সময়ে আইপিএল হলে খুব বেশি ৫ মাস বাকি রয়েছে। তার মধ্যে দেশের করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হলে ফের আইপিএলের আসর বসতে পারে আরব আমিরশাহিতে। যদিও দেশের মাটিতেই আইপিএল করার চেষ্টা ও ইচ্ছা দুই রয়েছে বিসিসিআইয়ের। দেশে বায়ো বাবল তৈরি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা রয়েছে বোর্ডের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মরু দেশই ভরসা বিসিসিআইয়ের।