সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আতঙ্কে ট্রেনে উঠতেও  ভয়!
  • দোলের মরশুমে পর্যটকশূন্য ডূয়ার্স
  • খাঁ খাঁ করছে হোটেল ও রিসর্টগুলি
  • বিপুল ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

আগাম বুকিং করে রেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু বেড়াতে এলেন না কেউই! করোনা আতঙ্কে ডুয়ার্সে ব্য়াপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন হোটেল ও রিসর্ট মালিকরা। স্থানীয় বাতাবাড়ি এলাকার একটি রিসর্টে অল্প যে কয়েকজন পর্যটক এসেছিলেন, তাঁরাও তড়িঘড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে খবর।  

আরও পড়ুন: আইসোলেশন ওয়ার্ডে তালা, 'করোনা আক্রান্ত'কে আতঙ্ক ছড়াল হাসপাতালে

পাহাড়ে-জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরী ডুয়ার্স। প্রতিবছর দোলের আগে ও পরে লাটাগুড়ি, ধুপঝোরা, মেটেলি,মুর্তি,চালসা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। হোটেল কিংবা রিসর্টগুলিতে তিলধারণের জায়গা থাকে না। অনেকে আবার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে রিসর্টেই রঙ খেলায় মেতে ওঠেন। কিন্তু করোনা আতঙ্কে ডুয়ার্সের চেনা ছবিটা যে এভাবে পাল্টে যাবে, তা কে জানত! মাথায় হাত হোটেল ও রিসর্ট মালিকদের। লাটাগুড়ি রিসোর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সম্পাদক দিবেন্দু দেব জানালেন, 'গত বছর দোলের সময়ে আমাদের এলাকায় ভিড় করেছিলেন বহু পর্যটক। কিন্তু এবার করোনা আতঙ্কে বেশিরভাগ বুকিং-ই বাতিল হয়ে গিয়েছে। দোলের পর বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন অনেকেই। হোটেল কিংবা রিসর্ট মালিকরাই শুধু নন, পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন।' গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিমল রাউতের বক্তব্য, করোনা আতঙ্কে নাকি ট্রেনে উঠতেই ভয় পাচ্ছেন পর্যটকরা। আগাম বুকিংও বাতিল করে দিচ্ছেন তাঁরা। বস্তুত, ডুয়ার্সে বেড়াতে আসবেন বলে একমাস আগে রিসর্ট বুক করে রেখেছিলেন, এমন পর্যটকরাও শেষবেলায় পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: শিকার বা কাঠ সংগ্রহের দুরভিসন্ধিতেই কি আবার আগুন শালবনীতে

উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগে ডুয়ার্স লাগোয়া ভূটানে এক মার্কিন পর্যটকের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিশ মেলে। এরপরই সেদেশে পর্যটকদের প্রবেশে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।