সংক্ষিপ্ত
- কংসবাতী নদীর ক্যানালের গার্ডওয়াল ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে দুর্ভোগ
- বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টি ও ক্যানালের জল ছাড়ায় বিপত্তি
- জনবসতি এলাকায় জল ঢুকে যাওয়ায় সমস্যায় এলাকাবাসী
- সেচ ক্যানাল নির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
শাজাহান আলি, মেদিনীপুর: নিম্নচাপের কারনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও ভারী বৃষ্টির কারনে বেড়েছে কংসাবতীর নদীর জলস্তর। এই দুইয়ের জোড়া ফলায় ঝাড়গ্রামে কংসাবতীর সেচ ক্যানালের গার্ডওয়াল ভেঙে বিপত্তি। এলাকার ঝাড়গেড়িয়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল ঢুকে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, চাষের জমিতে জল ঢুকেও বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। জলের তোড়ে ভেঙে যায় কংসাবতীর সেচ ক্যানালের গার্ডওয়াল। তার ফলে ঝাড়গ্রামের রাধানগর গ্রামপঞ্চায়েতের ঝাড়গেড়িয়া গ্রামে জল ঢুকে যায়। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রামেও জল ঢুকে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ।
জানাগেছে, ওই ঝাড়গেড়িয়া গ্রামের দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ঝাড়গ্রাম-টাটানগর রেললাইন রয়েছে। তৃতীয় লাইনের কাজ চলার জন্য দিন কয়েক আগেই সেখানকার ফ্লাইওভারের গার্ডওয়ালের নির্মাণকাজ শেষ হয়। এদিন সকাল থেকে টানা বৃষ্টি এবং প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে কংসাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। অতিরিক্ত জলের চাপ সামাল দিতে কংসাবতী ক্যানাল থেকে জল ছাড়া হয়। এরফলে জলের তীব্রতা বেড়ে চাপ পড়ে সেচ ক্যানালের কংক্রিটের গার্ডওয়ালে। জলের তোড়ে ভেঙে যায় গার্ডওয়াল। নদীর জল ঢুকে যায় এলাকার গ্রামগুলিতে।
ঝাড়গেড়িয়া সহ পাশের গ্রামগুলিতেও জল ঢুকে যায়। এলাকার রাস্তাগুলি জলের তলায় থাকায় যোগাযোগে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি, চাষের জমিতে জল ঢুকে যাওয়ায় বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।