সংক্ষিপ্ত
জামাইষষ্ঠীর দিনে কলকাতায় ফের উলটে গেল গাড়ি। রবিবার সকালে হেস্টিংসের কাছে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। পুলিশ সূত্রে খবর, হেস্টিংস রোডের দিকে যাওয়ার সময়, কমিশারিয়েট ক্রসিংয়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জামাইষষ্ঠীর দিনে কলকাতায় ফের উলটে গেল গাড়ি। রবিবার সকালে হেস্টিংসের কাছে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। পুলিশ সূত্রে খবর, হেস্টিংস রোডের দিকে যাওয়ার সময়, কমিশারিয়েট ক্রসিংয়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিকে পণ্যবাহী গাড়ি হলে ওই গাড়িতে ১৫ জন যাত্রী। ঘটনার পরই গুরুতর জখম ২ জনকে এসএসকেম-এ নিয়ে যাওয়া হয়। পলাতক চালক। ইতিমধ্যেই ওই চালককে খুঁজছে হেস্টিংস থানার পুলিশ। অভিযোগ বেপরোয়া গতিতে চলছিল গাড়ি।
রবিবার জামাইষষ্ঠী বলে রাস্তায় ঘাট একটু ফাঁকা। আর সেই সুযোগেই বেপরোয়া গতিতে চলছিল ওই পণ্যবাহীগাড়িটি।পুলিশ সূত্রে খবর, হেস্টিংস রোডের দিকে যাওয়ার সময়, কমিশারিয়েট ক্রসিংয়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিকে পণ্যবাহী গাড়ি হলে ওই গাড়িতে ১৫ জন যাত্রী। এদের মধ্যে ৫ জন মহিলা, ২ জন শিশু, বাকিরা পুরুষ। ঘটনার পরই গুরুতর জখম ২ জনকে এসএসকেম-এ নিয়ে যাওয়া হয়।গাড়িটিতে যান্ত্রিক গলযোগছিল কিনা, নাকি চালক মদ্যপ ছিল, তা জানতেই তদন্তে নেমেছে হেস্টিংস থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, ঘুম ভাঙতে দেরি ? জামাইষষ্ঠীতে পাশে আছে রাজ্যের হোম ডেলিভারি, অর্ডার করলেই হাজির লোভনীয় পদ
উল্লেখ্য, গতবার অগাস্টের শুরুতেই গভীর রাতে আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয় ছয় জনের। একটি যাত্রী বোঝাই পিকআপ ভ্যান রাস্তার পাশের গাছে সজোরে ধাক্কা মারলে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার সীমানা বাজার এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কুলতলী থানার রাধাবল্লভপুর, মল্লিকপুর এলাকা থেকে তামিলনাড়ুতে কাজের জন্য ২৭ জন শ্রমিক রবিবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ রওনা দিয়েছিলেন ঐ পিকআপ ভ্যানে চেপে। হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁদের ট্রেন ধরার কথা ছিল। কিন্তু বকুলতলা থানার সীমানা বাজারের কাছে এসে ব্যাক ঘুরতে গিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে সজোরে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় ট্রাকটি। ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন, ইচ্ছে হলেই ইলিশ ? পকেটে টান পাবদায়, জামাইষষষ্ঠীর বাজারে মাছ থেকে মিষ্টিতে দামের আগুন
তবে অন্য কথা বলছে আবার ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট। কুড়ি সালের প্রকাশিত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের অন্যান্য সব বড় শহরের মধ্যে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম কলকাতায়। তবে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এখনও এই শহরের পক্ষে উদ্বেগের কারণ বলে এই কেন্দ্রীয় রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। দেশের ৫৩টি বড় শহরের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সমীক্ষা চালায় ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি। এই ৫৩টি শহরের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে আছে কলকাতা। ২০১৯-এ গোটা দেশের এই ৫৩টি শহরের মধ্যে মোট যতজনের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে কলকাতার সংখ্যা সবচেয়ে কম। এই শহরগুলিতে পথ দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ০.৫ শতাংশ কলকাতায় ঘটেছে।
আরও পড়ুন, আজ জামাইষষ্ঠীর দিনে কি বেজায় গরম ? নাকি ঝাপিয়ে বৃষ্টি কলকাতা-সহ বঙ্গে