সংক্ষিপ্ত
- সম্প্রতি শহরে একের পর এক পেটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে
- আর পেটিএম জালিয়াতির তদন্তে বড় সাফল্য মিলল গোয়েন্দাদের
- গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার জামতাড়ার পাঁচ জালিয়াতকারী
- রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেয় ধৃতরা
সম্প্রতি শহরে একের পর এক পেটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। আর পেটিএম জালিয়াতির তদন্তে বড় সাফল্য মিলল গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল জামতাড়ার পাঁচ ব্যাঙ্ক জালিয়াতকারী। তাদের মধ্যে একজনকে ঝাড়খণ্ডের দুমকা থেকে ধরা হয় এবং জামতাড়া থেকে বাকি চারজনকে ধরা হয়। জামতাড়ায় বসে ধৃতরা পেটিএমের সাহায্যে কলকাতার একের পর এক বাসিন্দার অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব করে দেয় তাদের টাকা।
আরও পড়ুন, কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজেন কিসকু নামে এক যুবককে প্রথমে দুমকা থেকে ধরা হয়। তাকে গ্রেপ্তার করেই জামতাড়ায় তল্লাশি চালিয়ে আরও চার জালিয়াতির অভিযুক্ত রাজেশ দত্ত ওরফে শিবনাথ, শঙ্কর প্রসাদ, সুরেন্দ্র বার্নওয়াল ও অমৃত সাউকে লালবাজারের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেন। এরা নিজেদের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়ে ফোন করে শহরের বহু বাসিন্দার এটিএমের তথ্য জেনে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দেয় । ওই টাকা উধাও করার জন্য পেটিএম ও আরও কয়েকটি ই ওয়ালেটের সাহায্য নেয় ওই জালিয়াতরা। বাঁশদ্রোণীর এক বাসিন্দার কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা, ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দার অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার এবং পর্ণশ্রীর বাসিন্দার কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় ধৃতরা।
আরও পড়ুন, প্রতারণা মামলায় আপাতত স্বস্তি, গ্রেফতার করা যাবে না মণিরুল ইসলামকে
সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত নেমে গোয়েন্দারা ধরে ফেলেন এই ঘটনার পিছনে রয়েছে জামতাড়ার জালিয়াতি চক্র। তারপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই পাঁচজনকে গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেন। ধৃতদের কেউ বা মোবাইল ফোন রিচার্জ করে, কেউ বা ওয়ালেটের সাহায্যে টাকা তুলে নেয়। বাকিরা নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে জামতাড়ার জালিয়াতি চক্রের বাকিদের সন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন, ফের জেলেই রোজভ্যালির কর্ণধার, গৌতম কুন্ডুর জামিনের আবেদন খারিজ