সংক্ষিপ্ত
জানা গিয়েছে, তারাতলার বাসিন্দা বছর ১৯-এর যুবক অভিরূপ সাহা বরাহনগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ঘোষ পাড়াতে মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন সেখানে ছিলেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে ইতিমধ্যেই অজানা জ্বরের (Unknown Fever) দাপটে নাজেহাল রাজ্যবাসী। তার জেরে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা (Child Death)। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় (Kolkata) আবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু (Dengue)। মৃত্যু হয়েছে বেহালার (Behala) এক যুবকের।
জানা গিয়েছে, তারাতলার বাসিন্দা বছর ১৯-এর যুবক অভিরূপ সাহা বরাহনগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ঘোষ পাড়াতে মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন সেখানে ছিলেন তিনি। এরপর মামার বাড়ি থেকে যান নিজের বাড়িতে। কিন্তু, তারাতলায় নিজের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই অভিরূপের জ্বর দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
সেই মতো ২০ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকের (Doctor) পরামর্শ মতো কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে অভিরূপকে ভর্তি করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। জ্বরের জন্য হাসপাতালে তাঁর করোনা, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে জানা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবারই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনার কথা শোনার পর থেকেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বরাহনগর পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। যদিও অভিরূপের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালকে দায়ি করেছেন তাঁর এক আত্মীয়। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালে অভিরূপের ঠিকমত চিকিৎসা হয়নি। চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'লুঙ্গি পরে জলের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, দেখে কষ্ট হয়', সৌগতকে কটাক্ষ সুকান্তর
যদিও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই বলে দাবি করেছেন ওই ওয়ার্ডের পুরো কোয়ার্ডিনেটর বাসব চন্দ্র ঘোষ। তাঁর দাবি, বরাহনগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কোনও ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অভিরূপ সাহার মৃত্যু হয়নি। বিরোধীরা চক্রান্ত করে এই খবর ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন- ক্রেন দিয়ে বাস টেনে তুলতেই মিলল একাধিক দেহ, রায়গঞ্জ বাস দুর্ঘটনায় রাতভর উদ্ধার অভিযান
আরও পড়ুন- পুজোর আগে সুখবর, রাজ্যে পৌঁছাল ৪০ টন পদ্মার ইলিশ
উল্লেখ্য, এই নিয়ে চলতি মরশুমে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল ২ জনের। এর পাশাপাশি অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বহু শিশু। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri), আলিপুরদুয়ার, মালদহ, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ও দুর্গাপুরে থাবা বসিয়েছে অজানা জ্বর। এর জেরে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে।