কলকাতা শহরে ট্রাফিক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ কলকাতা পুলিশেরই এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার অভিযোগ জানাল থানায় থানায় ঘুরতে হযেছে তাঁকে
কলকাতা শহরে ট্রাফিক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করল কলকাতা পুলিশেরই এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ টালিগঞ্জ এসডব্লিউডি ট্রাফিক কনস্টেবল অশোক কুমার মার্জিতের সঙ্গে কর্মসূত্রে পরিচয় হয় এই অভিযোগকারিনী মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের। মহিলাকে কনস্টেবল কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই কনস্টেবল তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে কয়েকবার মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ করে। এবং বারংবার প্রতিশ্রুতি দেয় মহিলাকে বিয়ে করবে।
এর পরে এই মহিলা যখন ওই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে বিয়ের জন্য জোর করতে থাকে,তখন সে দায় ঝেড় ফেলে মহিলাকে বলে, 'আমি বিবাহিত ,তোমকে আমার বিয়ে করা সম্ভব নয়। আমার দুট বাচ্চা আছে। আমাদের সম্পর্ক যে রকম আছে সেরকমই থাক, তোমার কোনও দিন কোনও অসুবিধে হবে না।'
তারপরেই ওই মহিলা স্থানীয় সরসুনা থানায় অশোক এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করতে যান। তখন থানা থেকে বার বার ঘোরানো হয় তাঁকে। বলা হয় যেহেতু ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার আমরা অভিযোগ নিতে পারব না। আপনি মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ করুন। তারপর ওই মহিলা বেহালা মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে আসেন, কিন্তু সেখানে অভিযোগ না নিয়ে বেশ কয়েকবার হয়রানি করা হয়।। বেশ কয়েক দিন পর উকিলের চাপে পড়ে বেহালা মহিলা থানায় এফএইআর লিপিবদ্ধ হয়।
সেই সময় এই কেসের যিনি মহিলা আইও ছিলেন, তিনি অভিযোগকরিনীকে বলেন, এটা কলকাতা পুলিশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা। পুলিশের বদনাম হবে। অভিযুক্ত অশোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার জন্যে তাঁকে চাপ দেওয়া হয়।
৩৭৬ ধারতে অভিযোগ করা সত্বেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তারপর অভিযোগকরিনীর উকিল ফের অভিযোগ জানায় কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সি পি ক্রাইম ও ডি সি সাউথ ওয়েস্ট এর কাছে। তাতে পুলিশের তরফে মহিলাকে জানানো হয় অভিযুক্ত কনস্টবেল পলাতক।
আবার অনেকে বলেন ওপর মহলে এই সব অভিযোগ করার জন্য কলকতা পুলিশ থেকে তাকে তাঁর বাড়ি থেকে অনেক দূরে পোস্টিং করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কী, এফআইআর করেও কেন সুবিচার পাবেন না একজন মহিলা?
শেষ পর্যন্ত ওই ধর্ষিতা মহিলা সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযুক্ত অশোকের শাস্তির দাবিতে অনড় তিনি, পাশাপাশি মহিলা বলেন, তাঁর মতো আর কোনও মহিলাকে যেন অশোকদের শিকার হতে না হয়।
