সংক্ষিপ্ত

বউবাজার মেট্রো প্রকল্পকাণ্ডে মেলেনি স্বস্তি। শুক্রবার সকালে ফের আরও ২ টি বাড়িতে ফাঁটল দেখা গিয়েছে।  আর এরপরেই রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন মেট্রোর সঙ্গে কলকাতা পুরসভার বৈঠক।

বউবাজার মেট্রো প্রকল্পকাণ্ডে মেলেনি স্বস্তি। শুক্রবার সকালে ফের আরও ২ টি বাড়িতে ফাঁটল দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে ফাঁটল দেখা যায়। বাড়ি খালি করার জন্য আচমকাই মাইকিং শুরু করা হয়। মাঝরাতে এক থেকে দেড় ঘন্টার নোটিসে বাধ্য হয়ে ঘর ছাড়ে অনেক পরিবার। এদিকে বুধবারের পর ফের শুক্রবারও নতুন করে আরও দুটি বাড়িতে ফাঁটল দেখা গিয়েছে। আর এরপরেই রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। 

প্রসঙ্গত, মেট্রো প্রকল্পের জেরে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই  বউবাজারে একাধিক বাড়ি-রাস্তায় ফাঁটল দেখা যায়। মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের ৮ থেকে ১০ টি  বাড়িতে ফাঁটল দেখা গিয়েছে। রাত যত বেড়েছে, বাড়ির ফাঁটল তত চওড়া হয়েছে।মেট্রো রেলের যেখান দিয়ে টানেল বোরিং মেশিন তোলা হয়েছিল, সেখানে কংক্রিট করার কাজ চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বও কোনও কারণে মাটির নীচ থেকে জল উঠে আসে। ওই জায়গায় কংক্রিট দিয়ে ভরাট করা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত।সুরঙ্গের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসছে অবিরাম জল, রাতভোর বোজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। টানা কাজ করার পর সেই ছিদ্র বোজানো সম্ভব করেন কেএমআরসিল-র কর্মীরা। শুক্রবার মেট্রোর সঙ্গে কলকাতা পুরসভার বৈঠক।

আরও পড়ুন, 'মেট্রো রেল দায়ী নয়, তৃণমূলের নেতারাই প্ল্যান বদলে দিয়েছিলেন', বউবাজারকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ

অপরদিকে, বুধবার গভীর রাতে বাড়ি খালি করার জন্য আচমকাই মাইকিং শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। মাঝরাতে এক থেকে দেড় ঘন্টার নোটিসে বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে অনেক পরিবার। বিপজ্জনক বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকা জরুরী নথি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্রিক রো হোটেল কিউ ইন এবং গনেশ চন্দ্র এভিনিউের ব্রডওয়ে হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যদিও হোটেলের তরফ থেকে বা রেলের তরফে আবাসিকদের জন্য কোনও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন, 'সাহিত্য অ্য়াকাডেমি দিয়ে অপমান কেন ? নোবেল পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন মমতা', ফের বিস্ফোরক দিলীপ

মধ্যরাতে ঘর ছেড়ে কার্যত ফুঁসছেন বউবাজারের বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা বলেছেন, 'আমরা তো হোটেলে খেতে যেতে পারি না। তাই আমাদের মাঝেমধ্যেই হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যায় ওরা।' অপর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন,' ১ ঘন্টার নোটিশে ঘর ছাড়তে হয়েছে। তাহলে কী অবস্থা হয়, ভাবুন। বয়স্ক মানুষ, বাচ্চাগুলিও সঙ্গে ছিল। মেট্রো তো একবার ভাবলই না , কী খাবেন ওরা।' প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর ২০২২ সালের মে। এত দ্রুত যে স্মৃতি উসকে দেবে, ভাবেননি  বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের বাসিন্দারা। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রত্যেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।  

আরও পড়ুন, '২৩ থেকে ৪৬, বাংলায় বাড়তে পারে জেলার সংখ্যা', বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী