সংক্ষিপ্ত
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেছিল এনফোর্সমেন্টে ডিরেক্টরেটের কর্তারা। এবার সেই পথ ধরেই বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারেন ইডি কর্তারা
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেছিল এনফোর্সমেন্টে ডিরেক্টরেটের কর্তারা। এবার সেই পথ ধরেই বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারেন ইডি কর্তারা। তেমনই বলছে সূত্র। পার্থকে জেরা করার জন্য তারা যাবেন প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
ইডি সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। এই কদিনের তদন্তে যেসব নথি ও সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে তা নিয়ে তাঁরা পার্থর সঙ্গে কথা বলতে চান বলেও সূত্রের খবর। মঙ্গলবার ইডির আধিকারিকরা অর্পিতাকে জেরা করেন। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু গেজেট ও ইলেকট্রনিস্ক ডিভাইস ফরেন্সিক হয়েছিল। তারপর সেই রিপোর্ট নিয়েই তদন্তকারীরা অর্পিতার সঙ্গে কথা বলেন। এবার সেই একই বিষয় নিয়ে পার্থকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলেও সূত্রের খবর।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা দুজনেই জেল হেফাজতে রয়েছেন। ইডি হেফাজতে থাকার সময় তদন্তকারীদের অভিযোগ ছিল পার্থ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। নীরবে থেকে যাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তেমবই খবর দলের অন্দরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্র নিয়ে তাঁকে নিয়ে একটি কথাও খরচ করেননি মমতা। কিন্তু অনুব্রতর পক্ষে সওয়াল করেছেন। পার্থ ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য ছিল আইন আইনের মত চলবে। তাই এবার দেখার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডিকে তদন্তে সহযোগিতা করেন কিনা।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেলাহায় গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই এলাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়নসভা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এই এলাকা থেকে দীর্ঘ দিনের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কেন্দ্রে এসেও পার্থ চট্টোপধ্য়ায়কে নিয়ে মুখ খুললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র বলেছেন আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে অনুব্রত প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। মমতা বলেন, অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেন? তিনি আরও বলেন, 'ও কিছু চায়নি, সাংসদ বিধায়ক হতেও চায়নি অনুব্রত। আমি ওকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তাতেই রাজি হয়নি অনুব্রত।' এখানেই শেষ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনুব্রতকে প্রত্যেকবার নির্বাচনের সময় নজরবন্দি করে রাখা হয়। যা অনৈতিক বলেও দাবি করেন তিনি।