সংক্ষিপ্ত

  •  করোনা মোকাবিলায় শহর থেকে বন্ধ হংকং ও চিনের সমস্ত উড়ান 
  • শহর থেকে নিজেদের উড়ান তুলে নিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স 
  •  কলকাতা থেকে চিনের গুয়াংঝাও যাওয়ার উড়ানও বন্ধ করা হয়েছে  
  • চিনা নাগরিকদের উপরেও ভারতে ঢোকার  নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে 
     

নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে খুবই সতর্ক প্রশাসন। যার জন্য় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বন্ধ করা হল বন্ধ হংকং ও চিনের সমস্ত উড়ান। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর  শহর থেকে নিজেদের উড়ান তুলে নিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স।  কলকাতা থেকে চিনের গুয়াংঝাও যাওয়ার উড়ানও তুলে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন, ৪ ডিগ্রি নামল সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ, বুধবার পর্যন্ত শহরে চলবে শীতের আমেজ

সূত্রের খবর, কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য সোমবার জানিয়েছেন,  শহর থেকে নিজেদের উড়ান তুলে নিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। ওই বিমান, কলকাতা থেকে কুনমিং শহরে যেত। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে প্রথমে তারা সপ্তাহে ৮টি উড়ানের বদলে ৪টি উড়ান পরিষেবা দিচ্ছিল। কিন্তু তারপর সেই বাকি ৪টিও বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার কলকাতা থেকে হংকংয়ে যাওয়া ড্রাগন এয়ারও তাদের উড়ান তুলে নিয়েছে। অপরদিকে কলকাতা থেকে চিনের গুয়াংঝাও যাওয়ার উড়ানও তুলে নেওয়া হয়েছে। চায়না ইস্টার্ন জানিয়েছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উড়ান বন্ধ রাখবে তারা।  উল্লেখ্য়, গত রবিবার  ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আসা এক যুবতীর গায়ে জ্বর দেখে তাঁকে করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করে সরাসরি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রথম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কাউকে হাসপাতালে পাঠানো হল।

আরও পড়ুন, ভিডিও দেখে সটান হাজির স্টিভ, মুচিপাড়ার খুদে বিস্ময়-কে বানাবেন বড় ক্রিকেটার


 সূত্রের খবর, দেশের  বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ অর্থাৎ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন  গত শনিবারই সমস্ত উড়ান সংস্থাকে নির্দেশিকা জারি করেছিল।   চিন বা অন্য় কোনও দেশ থেকে কোনও চিনা নাগরিককে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এমনকি, চিনে থাকা বিদেশিদের ক্ষেত্রেও আপাতত ভারতে ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চিনে উড়ান চালানো অযৌক্তিক বলে দাবি করছেন উড়ান সংস্থার কর্তারা।  ট্র্যাভেল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া-র পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবি জানিয়েছেন, এর ফলে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়ছে পর্যটন ব্যবসা।