সংক্ষিপ্ত
কনসালটেন্ট নিয়োগ ইস্যুতে এবার মমতাকে টুইটে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল। রাজ্যে কনসালটেন্ট নিয়োগ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর সামনে ভূল তথ্য তুলে ধরেছেন বেল টুইটে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
কনসালটেন্ট নিয়োগ ইস্যুতে এবার মমতাকে টুইটে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল। রাজ্যে কনসালটেন্ট নিয়োগ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর সামনে ভূল তথ্য তুলে ধরেছেন বেল টুইটে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন সাতসকালে, সেই নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও জবাব মুখ্য়মন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) তরফে পাননি বলেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যপালের অভিযোগ, সংবিধানের ১৬ নম্বর ধারা ভেঙে অস্বচ্ছ নিয়োগ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, 'রাজ্য সরকারি দফতরে কনসালটেন্ট নিয়োগ নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠালেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। সংবিধানের ১৬ নম্বর ধারা ভেঙে দিয়ে অস্বচ্ছভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগপদ্ধতির তথ্য দিতে ব্যর্থ মুখ্যসচিবও।' উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজারহাট নিউটাউনে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার রিসার্স হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ।অনুষ্ঠানেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নিয়ে কনসালটেন্ট নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্য়ে কোভিড পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই ইস্যুকে তুলে ধরে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন তিনি। মমতা বলেন, 'রাজ্যে চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে। মেডিক্যালে কোটা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এখন কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপ। এক হাসপাতালের ৭৫ জন চিকিৎসক কোভিড পজিটিভ।কী করে আমরা পরিষেবা দেব। তাই মেডিক্য়াল সিট বাড়ানো প্রয়োজন।'
অপরদিকে, একুশ সালের শেষে পরামর্শদাতা নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট অর্থাৎ পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ৪০ টি দফতরে কনসালটেন্ট এবং সিনিয়ার কনসালটেন্ট নিয়োগের কথা হয়। কিন্তু এই নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন তুলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে একাধিক প্রকল্পকে আরও ভালভাবে নজরদারি করতে বিভিন্ন দফতরে পেশাদার পরামর্শদাতা নিয়োগের সিদ্বান্ত নিয়েছে নবান্ন। যদিও এই নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিজেপি। নবান্নের এই বিজ্ঞপ্তির পরেই টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, বাংলার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য বাইরে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে। এদিকে রাজ্য সরকার এমন সবাইকে চাকরি দিচ্ছে, যারা ইতিমধ্যেই প্রাইভেট সংস্থায় চাকরি করছে বা সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, কিংবা সরকারি ক্ষেত্রে কাজ করছেন। এই রাজ্য়ে যুবরা যে কতটা অবদমিত, এই ঘটনা তারই সেই দিকটাই তুলে ধরেছে।