সংক্ষিপ্ত

  • আবার বেলাগাম অনুব্রত মণ্ডল
  • আবার চড়াম চড়াম ঢাকের অনুরণন
  • বিজেপিকে গরু পেটানোর দাওয়াই তাঁর মুখে
  • একইসঙ্গে বললেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না

'চড়াম-চড়াম ঢাক' পুরনো হয়ে গিয়েছে'বাতাসা', 'নকুলদানা'ও অনেক বিকিয়েছে বাজারেএমনকি নেটিজেনদের সৌজন্য়ে 'শুঁটিয়ে লাল করে দেবো'ও  বহু ব্য়বহারে খানিক দীর্ণ ও জীর্ণ হয়ে পড়েছেএমতাবস্থায় দলকে চাঙ্গা করতে 'গরু পেটানো'র লেটেস্ট দাওয়াই অনুব্রত মণ্ডলের

সম্প্রতি আউশগ্রামের একটি সভায় আবার স্বমূর্তি ধারণ করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সেখানে কিছুদিন আগে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়েছিল তারই প্রসঙ্গ তুলে মঞ্চে উঠে অনুব্রত বলেন,  "ওদের(বিজেপিকে গরু পেটানোর মতো করে পেটান আমরা আছি ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই"

যদিও অনুব্রত মণ্ডলের মুখে এমন কথা শুনে নতুন করে কেউ বিস্মিত হননি তবে বিস্ময়ের কারণ লুকিয়ে  ছিল অন্য়ত্রতৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে একই সঙ্গে বলতে শোনা যায়, "আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না" তাই প্রশ্ন উঠেছে, আইন নিজের হাতে না-তুলে নিলে কীভাবে বিরোধীদের গরু পেটানোর মতো করে পেটানো সম্ভব হবে?

তবে আইন নিজের হাতে তুলে না-নেওয়ার কথা বলে অনুব্রত যা করলেন, তা কথার মারপ্য়াঁচ ছাড়়া আর কিছুই না, মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদেরকারণ, সামনেই পুরভোটএখনও দিন ঘোষণা করা হয়নি ঠিকইকিন্তু জনসভায় এই ধরনের মন্তব্য়ের জন্য় ভোটের সময়ে বারেবারেই কড়া নজরদারির মধ্য়ে রাখা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকেবিব্রত হয়েছে দলওতাই, এবার একটু সতর্ক হতে দেখা গেল অনুব্রতকে, এই যাযাতে করে, পরে কেউ কোনও প্রশ্ন তুললে যাতে বলার জায়গা থাকে, তিনি তো বলেইছিলেন, "আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না"

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন পুরভোটের আগে বারেবারে বলছেন, পঞ্চায়েতের মতো গা-জোয়ারি করা যাবে না এই ভোটে, তখন কীভাবে একজন জেলা সভাপতি বিরোধীদের গরু পেটানোর মতো দাওয়াই দিতে সাহস পান বীরভূম কি তাহলে এবারও ভোটের সময়ে রক্তাক্ত হয়ে উঠে উঠবে, যেমনটা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে?