সংক্ষিপ্ত
অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে মানুষের ক্ষোভ আজকের নয়। তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসে রাজ্যের বুকে একটা বড় হয়ে উঠেছে আর তিনি হলেন অনুব্রত মণ্ডল।
পতন যখন আসে- তখন সে কারও আকার বা আকৃতি দেখে না। আজ অনুব্রত মণ্ডল-কে দেখে সেই অবস্থা টের পাওয়া যাচ্ছে। আজ কেউ মুখের সামনে উচিয়ে ধরছে জুতো, কেউ আবার আসানসোল আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে অনুব্রতকে মুখে উপরে গরু চোর বলে গালাগালি দিচ্ছে। অনুব্রত-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পাশাপাশি দাঁড়িয়েছে বিজেপি থেকে সিপিএম। কিছু দিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর গ্রেফতারির সঙ্গে সামনে এসেছে ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার থেকে একাধিক সম্পত্তির হিসেব। পার্থ-র গ্রেফতারিতে প্রতিবাদ হয়েছে। বিরোধীরা রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর মানুষের ঘৃণা যেভাবে আঁছড়ে পড়ল তা একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিয়েছে যে ভয় দেখিয়ে রাজত্ব বেশিদিন টেকে না। তার পতন একদিন না একদিন হবেই। আর সেই পতন ভয়ানক আকার নিতে পারে।
অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে মানুষের ক্ষোভ আজকের নয়। তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসে রাজ্যের বুকে একটা বড় হয়ে উঠেছে আর তিনি হলেন অনুব্রত মণ্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার প্রথমবার সরকারে এসে তখনও ৫ বছর পূরণ করেনি, কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল বলে বসেন পুলিশকে বোমা মারতে। এমনকী ২০১১ সালে রাজ্যের শাসনে পালবাদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যতই বদলা নয় বদল চাই-এর স্লোগান দিন না কেন, বীরভূমের একের পর এক প্রান্তর থেকে রাতারাতি বামপন্থীদের উপরে নেমে এসেছিল নৃশংস অত্যাচার। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়ি-ঘর। রাতারাতি দখল হয়ে গিয়েছিল বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনগুলির পার্টি অফিস। স্থানীয় নেতা-মন্ত্রীদের হয় রাস্তায় কান ধরে সকলের সামনে ওঠ-বস করানো হয়েছিল না হয় রাস্তায় নাক ক্ষত দিয়ে থুঁতু পর্যন্ত চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। একাধিক স্থানে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বহুস্থানে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছিলেন বামদের সমর্থন করা মানুষ জন। এই সব ঘটনার না হয়েছিল পুলিশি অভিযোগ না হয়েছিল আদালতে অভিযোগ। সেই সময়ও এই হিংসায় নাম জড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বারবার শান্তির আবেদন রাখলেও বা নির্দেশ দিলেও কোনও কাজ হয়নি বীরভূমে।
২০১৩ সালে ময়ূরেশ্বরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ধীরেন লেটকে রাস্তার উপরে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়েছিল। কান ধরে ওঠ-বসের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দিয়ে বলানো হয়েছিল স্বীকারোক্তি। এই ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের। ঘটনার নিন্দা তো দূরে থাক উল্টে অনুব্রত বলেছিলেন ধীরেন লেট নাকি নিজেই নিজের কান ধরে ওঠবস করছিলেন। এমন বয়ানে স্বাভাবিকভাবেই উঠেছিল হাসির রোল।
এখানেই শেষ নয় বরং অনুব্রত মণ্ডলের এই সব ঘটনা যেন ছিল সন্ত্রাসের দৈত্য হয়ে ওঠার পথে তাঁর উপরে ওঠার সিড়ি। ২০১৩ সালেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা পাড়ুইয়ের হৃদয় ঘোষ। এক প্রকাশ্য জনসভা থেকে অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, বীরভূমের বুকে একটাই পার্টি আরে সেটা হল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্দল প্রার্থী বলে কোনও প্রার্থী নেই। তাই নির্দল প্রার্থী ভোট চাইলে তাঁর বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপরই হৃদর ঘোষের বাড়িতে ঢুকে তাঁর বাবা সাগর ঘোষকে গুলি করে হত্যা করে একদল দুষ্কৃতী। এমনকী হৃদয় ঘোষকেও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না হৃদয়। তিনি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সাগর ঘোষ হত্যা মামলায় কোনও ব্যবস্থাই হয়নি অনুব্রতর বিরুদ্ধে।
বীরভূমের বুকে আরও এক ঘটনা। অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধিতা করেছিলেন স্বরূপ গড়াই। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনাতেও অনুব্রত বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। রাতারাতি স্বরূপের স্ত্রীকে পাশে বসে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধীদের উপর খুনের অভিযোগ চাপিয়েছিলেন অনুব্রত। এরপরই স্বরূপের স্ত্রী অনুব্রত-র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহর করেন। পরে স্বরূপের বাবা-ও জানান রাতদিন অনুব্রত মণ্ডলের হুমকিতে আতঙ্কিত হয়েই তাঁরা অভিযোগ তুলে নিয়েছিলেন। এমনকী স্বরূপের স্ত্রীকেও কয়েক লক্ষ টাকাও অনুব্রত মণ্ডল দিয়েছিলেন। প্রাণ হারানোর ভয়ে সেই অর্থ গ্রহণ করা ছাড়া অন্য কোনও গতি ছিল না স্বরূপের পরিবারের। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর স্বরূপের বাবা জানিয়েছেন, পাপ কখনও কাউকে ছাড়ে না। শাস্তি তাঁকে পেতেই হবে।
রাজনৈতিক সন্ত্রাসের এক দন্ডমুন্ডের কর্তাতে পরিণত হয়েছিলেন অনুব্রত। বাংলার রাজনীতিতে বারবার সন্ত্রাসে নাম করেছিল নানুর থেকে শুরু করে সূচপুর। ২০০১ সালে এই সব এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করায় সন্ত্রাসের আটঘাট ভালোই রপ্ত করেছিলেন তিনি। বামদের শাসনকালে এই অঞ্চলে তিনি বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন বাম নেতা-কর্মীদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করতে। যার ফলে বীরভূমের অলিখিত মাসল পাওয়ারের একটা পাওয়ার ডিপো-তে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। যেই কারণে মণিরুল হোসেনের মতো প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকেও বোতলবন্দি করে দিয়েছিলেন অনুব্রত। শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সামনেই নয়, নিজের দলের অন্দরেই যে বা যারা অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে হয় কাউকে প্রাণ হারাতে হয়েছে, না হয় দল ছেড়ে অন্য দলে চলে যেতে হয়েছে, অথবা বশ্যতা স্বীকার করতে হয়েছে নতুবা নিস্ক্রিয় হয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিতে হয়েছে।
রাজনৈতিক সন্ত্রাস হুমকিতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর আরও এক হুমকিকে ঘিরে রাজ্যে ধিক্কার ওঠে। অনুব্রত বলেছিলেন, তৃণমূলের বিরোধীদের কবজি কেটে নিতে। বিজেপি-র মহিলা কর্মীকে প্রকাশ্যে গাঁজা কেস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। এমন কায়দায় তিনি সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে ঝড়ে পড়ছিল প্রবল আত্ম অহংকার এবং বুঝিয়ে ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা তিনি। তাঁর কাছেই পুলিশ থেকে প্রশাসন সব এসে মিলে যায়। অনুব্রত এই চরম নিন্দনীয় প্রকাশ্যের বয়ানের পরও নিশ্চূপ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মিথ্যা মামলায় গাঁজা কেস দিয়ে দেওয়া নিয়ে অনুব্রত-কে কোনও ভর্ৎসনা করেননি তিনি। উল্টে এক প্রকাশ্য জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন যে, কেস্টর মাথায় কম অক্সিজেন যায়, তাই ওর কথায় অনেকেই অন্যভাবে নেয়। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন যে, অনুব্রত খুব জনপ্রিয়, তাই তাঁর জনপ্রিয়তার হিংসা অনেকে মিথ্যে কথা বলে বেড়ায়। খোদ দলীয় মঞ্চে দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এমন উক্তি অনুব্রতকে বীরভূমের সর্বশক্তিমান ব্যক্তি হওয়ার রাস্তায় আরও অনেক দূর ঠেলে দেয়। প্রশাসের ব্যক্তিরাও বুঝে যায় যে এই জেলায় থাকতে হলে অনুব্রতকে সন্তুষ্ট করেই থাকতে হবে। রাতারাতি পুলিশ থেকে থেকে প্রশাসন সবেতেই ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিয়েছিলেন অনুব্রত। কারও ক্ষমতা ছিল না তাঁর বিরুদ্ধে একটা কথাও বলে। একবার এক সাংবাদিক তর্কের খাতিরে অনুব্রতকে কড়া প্রশ্ন করে ফেলেছিলেন। ক্যামেরার সামনেই সেই সাংবাদিককে রাতের অন্ধকারে রাস্তায় লরি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন অনুব্রত। এই ঘটনাও সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু, অনুব্রত-কে কিছুই করতে পারেনি।
অনুব্রত শাসানি এবং হুমকি শুধু বীরভূমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি বাংলার রাজনীতিকে সন্ত্রাসের একটা মুখ হয়ে উঠেছিলেন। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দক্ষিণবঙ্গের বেশিকিছু জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের অবর্জারভার হিসাবে নিয়োগ দিতেই এই সাম্রাজ্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে অনুব্রত-র হম্ভি-তম্বি মার্কা আচরণ আরও মাত্রা ছাড়া জায়গায় পৌঁছেছিলো। যার জন্য কখনও তিনি ভোটদাতাদের বাতাসা খাওয়ানোর হুমকি দিয়ে শীরদাঁড়া দিয়ে ঘাম ছোটাতেন, আবার কখনও নকুলদানা বিতরণ করে বিরোধীদের শান্ত করার নিদান দিতেন। কিন্তু, প্রতিটি বক্তব্যে এতটাই হুমকি মাখানো শ্লেষ থাকতো যে কেউই অনুব্রত-র বিরোধিতায় সাহস দেখাতেন না। ২০১৯ সালে তিনি চড়াম-চড়াম করে শরীরের ছাল ছাড়ানোরও নিদান দিয়েছিলেন।
অনুব্রত দিনের পর দিন তীব্র থেকে তীব্রতর করেছিলেন তাঁর হুমকি ও শাসানোর ভাবমূর্তি। জীবীতকালেই নিজেকে পরিণত করেছিলেন ভয়ানক সন্ত্রাসের দৈত্যে। অনুব্রত-র এমন চেহারা ও সাহাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন বাংলা সাহিত্যের অমর সাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষ। কবিতার মধ্যে দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা উন্নয়ন তত্ত্ব-কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন শঙ্খ ঘোষ। অশীতিপর কবি-র কলম পাল্টা যে কথা অনুব্রত বলেছিলেন তাতে গর্জে উঠেছিল বাংলা। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখ থেকে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য একবারে জন্যও ঝড়ে পড়েনি। কবি শঙ্খ ঘোষকে অকবি বলে শুধু গালাগালি দেওয়াই নয়, অনুব্রত মণ্ডল নুন-লঙ্কা ছিটিয়ে পিঠের ছাল ছাঁড়িয়ে নেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন তিনি।
২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে খেলা হবে বলে স্লোগান দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। পরে সেই খেলা হবে স্লোগান চারিদিকে ভাইরাল হয়ে যায়। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই খেলা হবে আপ্তবাক্য হয়ে ওঠে। এই নিয়ে ডিজে-ও তৈরি হয়। বিজেপি এই খেলা হবে স্লোগানের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনেও গিয়েছিল। তাঁদের অভিযোগ ছিল আসলে এটা একটা উসকানি এবং হিংসাত্মক নির্বাচন করার ডাক। যদিও নির্বাচন কমিশন এতে কান দেয়নি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পর বীরভূমের বুকে একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মী খুন হয়েছে। আর এর সবেতেই নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। নির্বাচন কমিশন ভোটদানের সময় তাঁকে কার্যত গৃহবন্দি করেও রেখেছিল। এতেও অনুব্রত সাম্রাজ্যে কোনও আঘাত আসেনি। কিন্তু, সময় যত এগিয়েছে গরু পাচারকাণ্ডে তাঁর নাম আরও বেশি করে জড়িয়েছে। তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে সিবিআই-এর গ্রেফতারি অনুব্রত-র চরম পরিণতিকে যেন আরও কাছে নিয়ে চলে এসেছিল। অনুব্রতর কফিনে আরও এক পেরেক ঠোকে বগটুই গণহত্যা। এখানেও যে সব তথ্য-প্রমাণ মেলে তাতেও অনুব্রত-র হিংসার সাম্রাজ্যের নাম জড়ায়। কিন্তু, প্রকাশ্যে কখনও অনুব্রত-কে নিয়ে সেভাবে সদর্থক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সুপ্রীম নেত্রীর আশীর্বাদধন্য হাত মাথার উপরে পেয়ে অনুব্রত ভুলে গিয়েছিলেন যে সবকিছুরই একটা সমাপ্তি রয়েছে। দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে কেউ ছুটে চললে সেই সমাপ্তির ধাক্কা নেওয়াটা কঠিন হয়ে যায়। তাই সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতে গত কয়েক মাস ধরে অনেক ফন্দি-ফিকির করে যাচ্ছিলেন বোলপুরের কেস্ট। কিন্তু, ১১ অগাস্ট শেষ হয়ে গেল সমস্ত খেলা। এখন সিবিআই-এর মুখে একটা কথা 'খেলা শেষ অনুব্রত'।