সংক্ষিপ্ত
- বিদ্যাসাগরের গুণগান করতে গিয়ে জড়িয়ে ফেলেছিলেন রাম মোহন রায়ের অবদান প্রসঙ্গ।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হলেন বাবুল সুপ্রিয়।
- শেষমেশ নিজেই ভুলের কথা স্বীকার করলেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী।
- সঙ্গে খোঁচা দিলেন যাদবপুরের বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের।
স্তূতি করতে গিয়ে বিচ্যুতি। বিদ্যাসাগরের গুণগান করতে গিয়ে জড়িয়ে ফেলেছিলেন রাম মোহন রায়ের অবদান প্রসঙ্গ। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হলেন বাবুল সুপ্রিয়। শেষমেশ নিজেই ভুলের কথা স্বীকার করলেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী। সঙ্গে খোঁচা দিলেন যাদবপুরের বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের।
দলের সাংস্কৃতিক শাখা 'খোলা হাওয়া'র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিনেই ঘটে গেল 'অঘটন'। আসানসোলের বিজেপি সাংসদের মুখে জানা গেল নতুন ইতিহাস। যেখানে বিদ্যাসাগরের বাংলায় অবদান প্রসঙ্গে সতী দাহ প্রথা অবলুপ্তির কথা বলেন বাবুল। যা ঘিরে নেট দুনিয়ায় শুরু হয় রঙ্গ তামাশা। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে টুইট করেন বাবুল। তবে কাটাখোট্টা টুইটের পরিবর্তে রসিকতার রসদে ভরা ছিল বাবুলের টুইট। যেখানে বিজেপি সাংসদ লেখেন, সত্যি আজ একটা ভুল তো করেছি। বিদ্যাসাগর নিয়ে বলবার সময় বিধবা বিবাহ বলার সঙ্গে সতীদাহ প্রথার কথাও বলে ফেলেছি। এটা একেবারে স্লিপ অফ টাং। এবার মানুষ কত কি লিখছে। বিশেষ করে বামেরা।
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 26, 2019 >
যদিও রাজা রামমোহন রায় আমায় মাফ করে দিয়ে হাসিমুখে এসএমএস করেছেন। সঙ্গে আশীর্বাদও করেছেন। আপনারা পারবেন কি ? তবে আর যাই হোক মানুষের ক্ষতি কিন্তু করিনি। বৃষ্টির দিনে চা তেলেভাজার সাথে আলোচনা করার মতো একটা প্রসঙ্গ তো পেলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এনআরসি-র পুরো নাম কি তা জিজ্ঞাসার সঙ্গে এর কিন্তু কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও বাবুলের এই টুইটের পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধ হয়নি ট্রোলের বন্যা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাগে পেয়ে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্য়তা নিয়েও বলতে ছাড়ছেন না কেউ কেউ।