সংক্ষিপ্ত

দুর্গাপুজার জন্য কলকাতার ক্লাবগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করা হয়। বৃহস্পতিবার ছিল এই মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানির আগেই, পুজোর বরাদ্দ অর্থ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। 
 

হাই কোর্টের শুনানির আগেই পুজোয় বরাদ্দ অর্থের নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য। রাজ্যের ৪২ হাজার ২৮টি দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান বরাদ্দ করল রাজ্য। তারপরও মিলবে প্রয়োজনীয় অর্থ।স্বরাষ্ট্র দফতরের উপসচিব পর্যায়ের এক আধিকারিকের নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। উল্লেখ্য দুর্গাপুজার জন্য কলকাতার ক্লাবগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করা হয়। বৃহস্পতিবার ছিল এই মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানির আগেই, পুজোর বরাদ্দ অর্থ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। 

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিশের এলাকার ৩,০০০ পুজোয় এবং রাজ্য পুলিশের অন্তর্গত মোট ৩৫টি জেলা ও কমিশনারেট এলাকার ৩৭ হাজার ২৮টি পুজোর জন্য অনুদান হিসাবে রাজ্য সরকার মোট ২৪০ কোটি ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ করল। পুজো কমিটিগুলির মধ্যে বন্টনের জন্য কলকাতা পুলিশের হাতে ১৮ কোটি টাকা এবং রাজ্য পুলিশকে ২২২ কোটি ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। দুটি পৃথক 'মেমো'র মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে এই টাকা। 

আরও পড়ুন'আমিত্ব বর্জনের আহ্বানের ডাক', 'অন্তর্লীন' -এর মধ্য দিয়েই ছিমছাম ভাবে দেবী দুর্গার আরাধনায় দমদম পার্ক ভারতচক্র

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলেও পুজো কমিটিগুলো ছাড় পাবে বলে জানান তিনি। এই ঘোষণার পর থেকেই সরব হয় বিরোধী দলগুলি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ সাধারণ মানুষ। একই দিনে এই মর্মে দুটি জনস্বার্থ মামালা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। 

আরও পড়ুন - মানুষ ও যন্ত্রের অন্তর্নিহিত সম্পর্ক, 'অযান্ত্রিক'-এর ভাবনায় সাজছে যোধপুর পার্কের পুজো

মামলাকারীর দাবি যেখানে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও 'টাকা নেই' বলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে পারছে না রাজ্য, সেখানে দুর্গাপুজো বাবদ এই বিশাল অঙ্কের টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে কেন? পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে জল সংকট প্রবল, হাসপাতালে বেডের অভাব। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাতে থাকা অর্থ কোনও জনমুখি কাজে ব্যবহার না হয়ে কেন ক্লাবগুলিকে অনুদানে দেওয়া হচ্ছে? পাশাপাশি বিদ্যুত বিলে ছাড়ের সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করা হয়েছে। তাই জনস্বার্থ রক্ষার্থে আদালত যেন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় সেই আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীরা।