সংক্ষিপ্ত

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বেলেঘাটা আইডিতে ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে। এই হাসপাতালে ওমিক্রন আক্রান্তদের মূল চিকিৎসা হবে। 

গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে ওমিক্রনের (Omicron) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID)হাসপতালকে ওমিক্রনের জন্য নোডাল হাসপাতাল (Nodal Hospital) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের আরও ছটি হাসপাতালে  ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসা করা যাবে। 

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বেলেঘাটা আইডিতে ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে। এই হাসপাতালে ওমিক্রন আক্রান্তদের মূল চিকিৎসা হবে। তবে কেউ যদি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি না হতে চান তাদের জন্য আরও ছটি হাসপাতাকে ওমিক্রন অক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ছা়ড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল অ্যাপোলে, ফর্টিস, এমআরআই, উডল্যান্ড, বেলভিউ, চার্নক হাসপাতাল। এই সাতটি হাসপাতালেই ওমিক্রন আক্রান্ত বা ওমিক্রন সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা হবে। এছাড়া আর কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ওমিক্রন রোগী বা সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা করা হবে না বলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য় দফতরের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিগেদী জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে রাজ্যে রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের সরকারি বেসকারি হাসপাতালগুলি যেন প্রস্তুত থাকে, তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের নার্সিংহোমগুলিতেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। 

পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকে তৈরি রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে কোভিড শয্যার সংখ্যা বাড়াতে গবে। রাস্তা ও বাজারে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। রাজ্যের বাসিন্দাদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কোভি়ড টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং-এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত টিকা নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের আরটিপিসিআর টেস্টও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশ ফেতর কোভিড ১৯ পজিটিভদের জন্য ১৪ দিনেপ আইসোলেশন বাধ্যতামূল করা হয়েছে। এই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মবিধি মেনে চলতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। দিল্লি ও মুম্বাইতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা রীতিমত বাড়ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন তেমন ভয়াবহ আকার নেয়নি কলকাতাসহ রাজ্যে। 

Roundup 2021: অক্সিজেন সংকট থেকে কালোবাজারি, কোভিড-১৯-র দ্বিতীয় তরঙ্গে সাক্ষী থেকেছে ভারত

Howrah Municipal Corporation Vote: 'রাজ্য সরকার কিছু জানায়নি', হাওড়ার পুরভোট এখনও অনিশ্চিত বলল কমিশন

Nagaland সফরে ভারতীয় সেনার তদন্তকারী দল, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলবে ২৯ ডিসেম্বর