সংক্ষিপ্ত
দোরগড়ায় শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে পৌর নির্বাচন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পুরভোট পিছোতে বলে চিঠি পাঠাল বিজেপি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (WB Election Commission) পুরভোট পিছোতে বলে চিঠি পাঠাল বিজেপি। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে পৌর নির্বাচন। এদিকে এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোট সম্ভব, তাই পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক এনিয়েই মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে। যদিও ২২ জানুয়ারি পুরভোট হওয়ার পক্ষে রয়েছে কমিশন। তবে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে 'এখনই অন্তত একমাস ' পুরভোট পিছোনোর আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় জনতা প্রার্টি (BJP)।
দীর্ঘ লম্বা চিঠির শুরুতেই ৪ পুরভোটে কেন্দ্র এলাকার কোভিড পরিস্থিতি উল্লেখ করেছে বিজেপি। রাজ্যে তথা সারা দেশে এই মুহূর্তে লাগামছাড়া কোভিড সংক্রমণ হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, একুশ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুরভোটের নোটিশ দেওয়ার সময় তখন রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ ছিল ৭৫২ জন। এবং স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ৬ জানুয়ারিতে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ২০গুণ লাফিয়ে বেড়ে ১৫ হাজার ৪২১ জন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভোট দিলে পরিস্থিতি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ইতিমধ্য়েই রাজ্যের হাসপাতালগুলির অধিকাংশ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা পজিটিভ। তাই পরিস্থিতি ক্রমশ বিপদ্দজনক হয়ে উঠেছে। আর এই কারণেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে 'এখনই অন্তত একমাস ' পুরভোট পিছোনোর আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় জনতা প্রার্টি।
প্রসঙ্গত, মামলাকারীর তরফে আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে শুক্রবার সওয়াল করে জানিয়েছেন, শুধু বিধাননগরেই ২৩ টি কনটেন্টমেন্ট জোন রয়েছে। কমিশনের উচিত এগিয়ে এসে ভোট বন্ধ করা। এদিন আদালতে আইনজীবী জানান, এই পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার ঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। ভোটাররা বাইরেই আসতে পারছেন না। তাহলে কীকরে ভোট দেবেন। তাঁর প্রশ্ন এই পরিস্থিতিতে ভোট করা কি একান্তই জরুরী প্রশ্ন করা হয়। এদিন মামলাকারীর আইনজীরবীর ওই বক্তব্য রাখার পর রাজ্য নির্বাচনে কমিশনের তরফে রাজ্যের সামগ্রিক খারাপ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ২১৩ জন।এই সংখ্যার সংখ্যা গরিষ্ঠ আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে ৩ জেলা মূলত উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি জেলা এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। তুলনায় কম দার্জিলিং -জলপাইগুড়িতে। এদিকে এই জেলাগুলিতেই ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে পৌর নির্বাচন। এহেন পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোট সম্ভব, তাই পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক এনিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। যদিও পুরভোট পিছোতে চায় না কমিশন। তবে শুক্রবার পুরভোটের ইস্যুতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট।