সংক্ষিপ্ত

'কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট হলে অসুবিধা নেই, তবে  কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ', পুরভোটের দোরগড়ায় বললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।  

'কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)  ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট (Municipal Election)হলে অসুবিধা নেই, তবে  কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ', পুরভোটের দোরগড়ায় বললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। পাশপাশি 'শিবসেনা তৃণমূলকে কি বলল, আর তৃণমুল কী বলল সেটা নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই', বলে দাবি সায়ন্তনের (BJP Leader Sayantan Basu)।

'রত্নাকর অনেক সময় বাল্মিকীর মতো কথা বলে'

এদিন বরাবরেই মতোই  সায়ন্তন বসু তোপ দেগে বলেন, অবাধ ভোট- রত্নাকর অনেক সময় বাল্মিকীর মতো কথা বলে। কিন্তু তা হয় কিনা ফলে প্রচারিত। যদি অবাধ ভোট হয় তাহলে তৃণমূল পরাজিত হবে। মানুষ জর্জরিত, তারপর দূর্নীতি,তাই অবাধ হলে তৃনমুল পরাজিত হবে। তৃনমূলের পক্ষে মানুষের রায় নেই। প্রার্থী ক্ষেত্রে আমরা সংশোধন করেছে ওনাদের দলের বিষয়।  টাকা দিতে পারিনি বলে টিকিট দেয়নি,এমন কথা ওদের দলের লোক বলছে। বিজেপি তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে লড়াই দেয়নি।
উন্নয়ন কিসের বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন্দ্র টাকা দিয়েছে চুরি করেছে। বাঙালিকে ৫০০ টাকা দিয়ে ভিখারি করা হয়েছে, না হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্প চুরি করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি বড় বড় শহরের পুরসভা ক্ষমতায়।

আরও পড়ুন, Farm Law: 'ধান গাছে চাল হয়, না কাঠ হয়, জানেন না রাহুল গান্ধী', কৃষক মৃত্যু ইস্যুতে তোপ সুকান্তের

'শিবসেনা তৃণমূলকে কি বলল, আর তৃণমুল কী বলল সেটা নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই'

সেখানে যেভাবে কাজ করেছে উন্নয়ন থেকে  কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট হলে অসুবিধা নেই তো। কিন্তু এখানে পুলিশ তৃণমূলের লেঠেল বাহিনীতে পরিনত হয়েছে।  কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের বিষয় এই তিনটে দল দ্বিতীয়, তৃতীয়,চতুর্থ হতে লড়াই করছে। বিজেপি এর মধ্যে নেই। জোটে জট রয়েছে।  একবার তৃনমূলকে সিপিএম আহ্বান করছে আবার কংকে তৃণমূল গালাগাল করছে। বাঙালি হিসাবে হতাশ লাগে। দুয়ারে প্রধানমন্ত্রী হতে চলে যাচ্ছে।  দেখা করবে না তাও যাচ্ছে।  শিবসেনা তৃণমূলকে কি বলল, আর তৃনমুল কী বললো সেটা নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। যেকোনও নিযোগে বিশৃঙ্খলা হওয়া স্বাভাবিক, কারণ এত দূর্নীতি হয়েছে, প্রশাসনের সজাগ থাকা উচিত।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি আগেই তুলেছে বিজেপি

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল, কী কারণে একই দিনে হল না পুরসভা ভোট। এর পাশাপাশি পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও এদিন সওয়াল করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার কমিশনারকে নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইট করে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে বলেন, সাংবিধানিক নিয়ম নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , তাই সেটা মেনে চলা উচিত। এর আগে কমিশনের পুরভোট নিয়ে বৈঠক করেছেন জগদীপ ধনখড়। কমিশনকে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে, রাজ্য সরকারের শাখা হিসাবে কাজ করলে চলবে না। তাঁদের কথা মতো চললেও হবে না, স্পষ্ট করে সতর্ক করে দিয়েছেন রাজ্যপাল।  ১৯ ডিসেম্বর কীভাবে ভট হতে চলেছে, এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেবেন রাজ্যপাল। কলকাতা পুরসভার প্রায় ৫ হাজার বুথে যে ভোট হতে চলেছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিল বিজেপি। যদিও রাজ্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে বলে অভিমত উঠে এসেছে বৈঠকে।