সংক্ষিপ্ত
'তৃণমূল বহিরাগতদের এনে ভোট করানোর চেষ্টা করছে', পুরভোটের দোরগড়ায় গুরুতর অভিযোগ তুললেন সুকান্ত মজুমদার। ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর সিকদারের হয়ে নবপল্লি এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
'তৃণমূল বহিরাগতদের এনে ভোট করানোর চেষ্টা করছে', পুরভোটের দোরগড়ায় গুরুতর অভিযোগ তুললেন সুকান্ত মজুমদার। ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর সিকদারের হয়ে নবপল্লি এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'তৃণমূল বহিরাগতদের এনে ভোট করানোর চেষ্টা করছে।রাস্তার পাশে প্রচুর গাড়ি দাঁড় করানো আছে প্রচুর লোক তোলা হচ্ছে গাড়িগুলোর কলকাতার দিকে। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর থেকে লোক তোলা হচ্ছে কলকাতায় আনার জন্য। ডানকুনি টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ বার করা হোক যদি ডিলিট না করা হয়। তাহলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে দুধ কা দুধ পানি কা পানি। তিনি আরও বলেছেন, গতকালকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে অনেক বাইরের জেলা থেকে লোক আনা হয়েছিল।তাতে কোন আপত্তি নেই কিন্তু লোকগুলো কি ভোটের প্রচারে যাবে নাকি ভোটের পর এইখানেই থেকে যাবে। ভবানীপুরে দেখেছি বাইরের লোক এসে ভোট দিয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাব কিন্তু নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ এই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে কোনও লাভ নেই। কোনও কাজ হবে না। বিজেপির জনসমর্থন আছে আরও বাড়বে। গতবারের চেয়ে অনেক বেশি সিটে জিতবো l'
প্রসঙ্গত, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরভোট। এই পুরভোটের নিরপত্তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই রাজ্যে জলঘোলা হয়েছে। কারণ প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এসেছে। ওদিকে 'পুলিশেই সন্তুষ্ঠ মমতা', বলে তোপ দেগেছেন বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। এনিয়ে সরব হয়েছেন আবার রাজ্যের শাসকদলের কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে 'ভোটে কলকাতা পুলিশ যথেষ্ট', কথা প্রসঙ্গ উঠতেই এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভোটে দক্ষতা আজই বুঝলেন। আগের মতোই সব হবে৷ এবারেও ছাপ্পা হবে, আশঙ্কায় আছি।' তবে শুধু সুকান্ত মজুমদারই নন, এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনিও আগত পুরভোটে বহিরাগত ইস্যু তুলেছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি শহরে একাধিক ভুয়ো আধার কার্ডও প্রচুর উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে পূর্বে তোলা অভিযোগ আরও বেশি উসকে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। অপরদিকে সুকান্ত মজুমাদার আরও বলেছেন, 'বেচারাম মান্নার বাড়ি শুদ্ধিকরণ করা উচিত। উনি ওখানে দাঁড়িয়ে সবকিছু পুরো বেঁচে দিয়েছে। ওই এলাকায় বেশিদিন টিকবে না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন অনেক কথা বলছেন। কিন্তু এখন যেগুলো বলছেন, সেগুলো আগে ভাবা উচিত ছিল। এখন বলে কোনও লাভ নেই।'