সংক্ষিপ্ত

সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলেছে চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল, নৈহাটি জুটমিল ও ডানকুনির সোনা বিস্কুট কারখানায়। যা নিয়ে তোপ দাগলেন শুভেন্দু

নতুন বছরের শুরু থেকেই রাজ্যের একের পর এক কারখানায় ঝুলে যাচ্ছে তালা। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাজ। পথে বসছেন হাজার হাজার শ্রমিক। প্রায় ২ বছর বন্ধ থাকার পর, গত ১১ জুলাই খুলেছিল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল(Gondalpara Jute Mill)। সাড়ে ৫ মাসের মাথায় ফের বন্ধ হয়ে য়ায় এই জুটমিল। এদিকে মঙ্গলবার সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ( Notice of suspension of work ) পড়েছে চাঁপদানির নর্থব্রুক জুট মিলে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। এবার এই ইস্যুতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষবান শানাতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Opposition leader Shuvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে টুইটারে তিনি লেখেন, রাজ্যে শিল্পায়নের কী দশা, তা চলতি বছরের প্রথম দশদিনেই তা স্পষ্ট হয়ে গেল। সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলেছে চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল, নৈহাটি জুটমিল ও ডানকুনির সোনা বিস্কুট কারখানায়। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়নের কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষ কি তাদের ‘মেয়েকে ভোট দিয়েছিল এমন দুর্ভাগ্যজনক দিনের অপেক্ষায়?

এদিকে শুবেন্দুর এই পোস্ট নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পাল্টা তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে শাসক দলের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি হুগলিতে একের পর এক জুট মিল বন্ধ হয়েছে গত কয়েক দিনে। এর আগে রিষড়ার ওয়েলিংটন, শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুট মিল, ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর নর্থ এবং চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুট মিল বন্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার আচমকা বন্ধ হয়ে যায় চাঁপদানির নর্থব্রুক জুট মিল। যা নিয়ে নিয়ে তৈরি হয় চাঞ্চল্য। তবে কারখানা বন্ধ নিয়ে কেন্দ্রকে দুষেছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। যদিও বিজেপি-র শ্রমিক সংগঠন বিএমএসের নেতা কানাই পাণ্ডের অভিযোগ শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে খেলা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সরকার মালিকপক্ষের সঙ্গে মিলে বন্ধ করছে একের পর মিল।

 

তবে বিজেপি-র পাল্টা দিতে গিয়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করেন কেন্দ্রকেই। তার দাবি কেন্দ্র সরকার আজব নীতির কারণেই জুটমিলগুলি বন্ধ হচ্ছে। এর জন্য রাজ্য সরকার দায়ী নয়। উল্টে রাজ্য সরকার নাকি জুটমিলগুলি খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছে বলে তার মত। তবে রাজনৈতিক বিতর্ক, দোষারোপের মাঝে যে আদপে রাজনীতির শিকার হয়ে পথে বসেছেন হাজার হাজার শ্রমিক, দিন কাটাচ্ছেন এক অন্ধকার ভবিষ্যতের আঙিনায়, তা মানছেন সকলেই।  

আরও পড়ুন-করোনা সঙ্কটে ভক্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা,পুন্য তরীতে আসবে গঙ্গাসাগরের গঙ্গাজল