সংক্ষিপ্ত

  • এবার রামের দোসর হতে চলেছেন মা কালী।
  • রাজ্য বিজেপি এবার পথে নেমে স্লোগান দেওয়ার সময় জয় শ্রী রাম বলার সঙ্গে সঙ্গে জয় মা কালীও বলবে।

জয় শ্রী রাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুলেটের  চেয়েও ঘাতক মনে করেন এই ধ্বনিকে। লোকসভা ভোট চলাকালে চন্দ্রকোনায়, ভোট মেটার পরে নৈহাটিতে এই স্লোগান দাতাদের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই এই শব্দবন্ধই রাজ্য রাজনীতিকে বেঁধে রেখেছে দিন কয়েক। এবার রামের দোসর হতে চলেছেন মা কালী। রাজ্য বিজেপি এবার পথে নেমে স্লোগান দেওয়ার সময় জয় শ্রী রাম বলার সঙ্গে সঙ্গে জয় মা কালীও বলবে।

গত মঙ্গলবারই লোকসভা ভোটের ফলের পরে প্রথম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দেখা পেল বঙ্গ বিজেপি।  কৈলাস বিজয়বর্গী মঙ্গলবার রাজ্যের দলীয় নেতৃত্বদের প্রস্তাব দেন জয় শ্রী রাম বলার পরে যেন জয় মা কালীও বলা হোক। 

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমাদের শুধু জয় শ্রীরামে কোনও আপত্তি ছিল না।  তবে এ কথা বললেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে মা কালী যুক্ত হওয়ার শক্তি বাড়বে আমাদের স্লোগানের। কারণ বাঙালির সংস্কৃতিতে কালী নামের মাহাত্ম্য গভীর ভাবে যুক্ত।"

একই সঙ্গে বিজেপি থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো জয় হিন্দ, জয় বাংলা লেখা কার্ড যারা পাঠাবেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিউত্তর দেওয়া হবে।  দিলীপ ঘোষ বলছেন, "জয় হিন্দ বলার মধ্যে কোনও খারাপ কিছু তো নেই, জাতীয়তাবাদকেই উস্কে দেয় এই স্লোগান।"

বলাই বাহু্ল্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেও কালীভক্ত। ভোটের অনেক আগেই তারাপীঠে এসে পুজোও দিয়েছিলেন তিনি। ভোট মিটে যাওয়ার পরে মন্ত্রীসভা গঠনের দিনে তাঁর নিজস্ব পুরোহিতরা পুজো দেন নয়া মন্ত্রীসভার মঙ্গলকামনায়।

প্রসঙ্গত এদিনের বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলাস্তরে বিজেপির নেতৃত্বে রদবদল ঘটবে শিগগির।