সংক্ষিপ্ত
- বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ফের রণক্ষেত্র হালিশহর
- বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগ
- ভাঙচুর করা হয়েছে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গাড়ি
- কী থেকে উত্তেজনা ছড়াল তদন্ত করছে পুলিশ
বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হালিশহর। বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গাড়ি। রবিবার উত্তর ২৪ পরগণার এই ঘটনার খবর পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। সাংসদদের খবর নিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, এদিন হালি শহরে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলেরও একটি কর্মসূচি ছিল। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গেলে অর্জুন সিংয়ের গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, দলীয় কর্মীর বাড়িতে মিটিং করছিলাম তখন আমার গাড়িতে তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারী ও তার গুন্ডা বাহিনী হামলা করে। ভাঙচুর করা হয় আমার গাড়ি।
বাদ যায়নি দলীয় কর্মীদের বাইক। বোমা ছোড়া হয় সেই বাইকগুলিতে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই বাইকগুলি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সাংসদের অভিযোগ, তাকে এবং দলীয় কর্মীদেরও লক্ষ্য় করে বোমা ছোড়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে। অন্যদিকে, বোলদেঘাটায় তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও পরে তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারী অভিযোগ করেন, রবিবার বিজেপি থেকে আসা বহু কর্মী দলে দলে তৃণমূলে যোগদান করছিলেন। সেই খবর পেয়েই হামলা চালায় অর্জুন সিংয়ের লোকজন। সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করে ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাধা দেয়। তাতেই সংঘর্ষ বাধে।
পরে গিয়ে বীজপুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সাংসদের গাড়িতে ভাঙচুর ও সংঘর্ষ নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও উত্তেজনা রয়েছে হালিশহরে।