সংক্ষিপ্ত
- বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা কাণ্ডের প্রতিবাদ
- এবার জোড়াসাঁকো চত্বর দাপাল বিজেপির যুব মোর্চা
- যুব মোর্চার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের
- সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ
বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার জোড়াসাঁকো চত্বর দাপাল বিজেপির যুব মোর্চা। দীর্ঘ সময় ধরে যুব মোর্চার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। শেষে পুলিশ সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
এদিন দুপুরে বিজেপির অফিস থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ কর্মসূচির কাজ। প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, জোর করে বিশ্বভারতীর জায়গা দখল করা হচ্ছে। শাসক দলের মদতে কবিগুরুর জায়গায় দখলদারি করছে এলাকার লোকজন। সেখানে পুলিশ প্রশাসন চুপ করে রয়েছে। এদিন প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হতেই সেন্ট্রালে যুব মোর্চার কর্মীদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ।
পাল্টা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় যুব মোর্চার কর্মীরা। যা ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এলাকায়। পরে পুলিশ যুব মোর্চার কর্মীদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
গতকালই বিশ্বভারতী কাণ্ড নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন,যেভাবে পুলিশ প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও বিশ্বভারতীর মতো জায়গায় তাণ্ডব চলেছে , তাতে তাঁর লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গুন্ডাদের হাত থেকে বিশ্বভারতীকে না বাঁচাতে পারায় তাঁর আফসোস হচ্ছে।
সোমবার বিশ্বভারতীর মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী কাজও চলছিল জোরকদমে। কিন্তু হঠাৎ এই কাজের মাঝেই যত গণ্ডগোল। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে মাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা পারদ চড়ছিল শান্তিনিকেতনে। এরইমধ্যে আবার রবিবার কয়েকজন প্রাক্তনীকে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে।
সোমবার সকালে বোলপুর পোস্ট অফিসের কাছ থেকে ধিক্কার মিছিল বের হয়। মিছিলে পা মেলান হাজার দশেক মানুষ। কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা না থাকলেও, মিছিলের প্রথমসারিতে ছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি, বোলপুরের কাউন্সিলর শেখ ওমর-সহ আরও অনেকে। মিছিল যখন বিশ্বভারতীর মেলার মাঠের কাছে পৌঁছয়, তখন এলাকায় নির্বিচার ভাঙচুর শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। চোখের নিমেষে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাঁচিল নির্মাণের সামগ্রী, এমনকী ঠিকাদারের অস্থায়ী অফিসের টেবিল-চেয়ার ফ্যানও। বাদ যায়নি মেলার মাঠের স্থানীয় বাতিস্তম্ভগুলিও। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্বভারতী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।