সংক্ষিপ্ত

  • পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সুখবর
  • কাজের আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্যের পরিয়ায়ী শ্রমিকরা
  • হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ঐতিহাসিক রায়
  • কেন্দ্রের গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় কাজ পেতে পারেন শ্রমিকরা
     

রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সুখবর। তাঁদের কাজের স্বপক্ষে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গত জুন মাসে গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা প্রকল্প নিয়ে আসে। এই প্রকল্পে রাজ্যের জেলাগুলির নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।

করোনা আবহে লকডাউনের সময় ভিন রাজ্যের কাজ হারিয়ে বাংলায় নিজের ঘরে ফিরেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সেসময় ঘরে ফেরা ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্পের আওতায় নাম ছিল না পুরুলিয়া জেলার। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জেলার নাম না থাকায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন পুরুলিয়ার বাগমুণ্ডির কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের গরিব কল্যাণ প্রকল্পে নাম নেই পুরুলিয়া জেলার। অথচ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নাম থাকার জন্য যা যা মাপকাঠি প্রয়োজন তা পুরিলিয়ার জেলার আছে। 

লকডাউন পর্বে গত ২০ জুন ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এই প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। উদ্দেশ্য ছিল ভিন রাজ্য়ে কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকা। প্রাথমিকভাবে আগামী ১২৫ দিনের জন্য কাজ দেওয়া হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের। সেজন্য পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু পুরুলিয়া জেলার ৩৯ হাজার শ্রমিক এই প্রকল্পের আওতায় ছিলেন না বলে জনস্বার্থ মামলায় দাবি করেন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো।

পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের স্বপক্ষে এদিন রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টি রাধাকৃষ্ণণ জানান, গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় রাজ্য়ের অনেক জেলার নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। পুরুলিয়ার জেলাশাসককে পুরুলিয়া জেলার নাম অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রকল্পের প্রয়োজনীয় মাপকাঠি অনুযায়ী সব দিক বিচার করে প্রস্তাব পাঠাবেন জেলাশাসক। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।

গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় যোগ্যতা অর্জনের জন্য কমপক্ষে ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক প্রয়োজন হয় বলে আইনি যুক্তি দেখান কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। এই মর্মে তিনি পুরুলিয়ার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরপর দুবার জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়ও লাভ হয়নি। এরপর, কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বাগমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো।