সংক্ষিপ্ত
- কঠোর সমালোচকরাও প্রশ্ংসা করেছেন
- শিক্ষা নীতিকে সদর্থক পদক্ষেপ বলেছেন অনেকেই
- অথচ সেই শিক্ষানীতির বিরোধিতা করল রাজ্য়
- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালদের সভায় বিরোধিতা
কঠোর সমালোচকরাও প্রশ্ংসা করেছেন। মোদী সরকারের জাতীয় শিক্ষা নীতিকে সদর্থক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন দেশের নামকরা শিক্ষাবিদরা। অথচ সেই শিক্ষানীতি নিয়েই এ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরেুদ্ধে সরব হল পশ্চিমবঙ্গ। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালদের সভায় রাজ্য়ের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,কেন্দ্র একতরফাভাবে শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন করছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিপরীতে যাচ্ছে। সোমবার শিক্ষানীতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়ে বিশেষ আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্ক ও বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্যরা। যেখানে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, একতরফা ভাবে শিক্ষানীতি রূপায়ন করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার মতো বিষয় নিয়ে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি শিক্ষামন্ত্রী। নয়া শিক্ষানীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি, এম ফিল তুলে দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করেছে রাজ্য়। সেসব শীঘ্রই লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হবে। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের এই কথা কানে যায়নি প্রধানমন্ত্রীর। নতুন শিক্ষানীতির বিষয়ে মোদী বলেন,নয়া শিক্ষানীতি দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নেও পরিবর্তন আনবে। এর ফলে গোটা দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের গতিকে নয়া দিশা দেখাবে এই শিক্ষানীতি।