সংক্ষিপ্ত
- বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা এখন কোথায় রয়েছেন
- এই নিয়েই হাইকোর্টের শুনানিতে জোর তরজা চলল মঙ্গলবার
- রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে কোর্টে জানাতে বলেছে গুরুং কোথায়
বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা এখন কোথায় রয়েছেন? এই নিয়েই হাইকোর্টের শুনানিতে জোর তরজা চলল মঙ্গলবার। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে কোর্টে জানাতে বলেছে গুরুং-এর বর্তমান অবস্থান কোথায়।
এদিন কোর্টে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত বলেন, বিমল গুরুং বেআইনিভাবে দেশের বাইরে আছেন। তিনি নেপালে আছেন বলে বিশেষ প্রমাণও রয়েছে। এর পালটা হিসেবে বিমল গুরুং এর আইনজীবী বলেন, নেপালে যেতে কোন অনুমতি লাগে না। তাই তাকে বিদেশ বলা যায় না। তাছাড়া বিমল গুরুং ও রোশন গিরি উভয়েই এদেশে আছেন বলে দাবি করেন তাদের আইনজীবী। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ তখন রাজ্যকে বলে, গুরুং কোথায় আছেন তথ্য থাকলে আদালতকে জানাক।
এজি জানান, এতে গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হবে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ বলে, গুরুং এর অবস্থান নিয়ে প্রাথমিক তথ্য পেশ করতেই হবে আদালতে। সরকার এবং মামলাকারী দু'পক্ষের কাছেই অতিরিক্ত হলফনামা তলব করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে হাইকোর্টের শীতকালীন ছুটির এক সপ্তাহ পর৷
বস্তুত, ২০১৭ সালে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং, রোশন গিরি সহ একাধিক নেতা, কর্মীর বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে পাহাড়ে জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বলেছিল সেই সময়। পরে রাজ্য সরকার তা নিয়ন্ত্রণে আনে৷ রাজ্য পুলিশ বিমল গুরুং, রোশন গিরি সহ একাধিক নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আড়ালে চলে যান গুরুংরা। ১৫০ টিরও বেশি মামলায় নাম জড়ায় বিমল গুরুং, রোশন গিরি সহ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বেশ কয়েকজন নেতা, নেত্রীর। তবে গ্রেফতারি এড়াতে তারা আগাম জামিন চেয়ে মামলা করেন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। কিন্তু মামলাগুলি পাঠানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি চান গুরুংরা।