সংক্ষিপ্ত
পুজোর সময় চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারবেন। রাজ্য সরকারের যুক্ত খারিজ করে দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা চাকরির জন্য ভিক্ষে করবেন আর পুজোর দোহাই দিয়ে পুলিশ আন্দোলন আটকে দেবে সেটা হয় না।
পুজোর সময় চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারবেন। রাজ্য সরকারের যুক্ত খারিজ করে দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা চাকরির জন্য ভিক্ষে করবেন আর পুজোর দোহাই দিয়ে পুলিশ আন্দোলন আটকে দেবে সেটা হয় না। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের যুক্ত মানা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন বিচারপরি।
প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরি প্রার্থীদের একাংশ অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চানয়। ২০০৯ সাল থেকে তাঁরা নিয়োগ পাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করতে চান তাঁরা। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, পুজোর সময় আবস্থান বিক্ষোভ করা যাবে না। তারপরই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরি প্রার্থীরা। সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্য প্রশাসনতে তিরোস্কার করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মান্থা বলেন, চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ অবস্থান করতে দিতে হবে। তবে নির্দিষ্ট সময় মেনেই বিক্ষোভ করবেন তারা। সেই ব্যবস্থা পুলিশকে করে দিতে হবে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী এক মাসের জন্য ধর্মতলা চত্ত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরি প্রার্থীরা। তবে নির্দিষ্ট সময় মেনেই বিক্ষোভ করতে হবে তাঁদের।
এদিন রাজ্য প্রশাসনের রফ থেকে আদালতে বলা হয়েছিল পুজোর মসশুমে পুবলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা থাকবে। অন্যদিকে রানি সারমণি রোডে একটি অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের এই যুক্তি ধোপে টেকেনি আদালতের কাছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, রানি রাসমণি রোড না কি গান্ধী মূর্তির পাদদেশ কোথায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করা যাবে তা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতের এই নির্দেশেও রীতিমত ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রীতিমত পার্যুদস্ত রাজ্য সরকার। একের পর এক মামলা হাইকোর্টের নির্দেশ যাচ্ছে রাজ্য সরকারের বিপক্ষে। যা নিয়ে কিছুটা হলেও সমস্যা বাড়ছে রাজ্য সরকারের।