সংক্ষিপ্ত
- করোনা নিয়ে 'জোড়া ফলায়' বিদ্ধ রাজ্য়
- বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডাতে সময় কেটে যাচ্ছে
- এবার হাইকার্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য় সরকার
- ভাইরাস নিয়ে রাজ্য়ের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
এবার করোনা ভাইরাস নিয়ে 'জোড়া ফলায়' বিদ্ধ রাজ্য়। বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডাতে সময় কেটে যাচ্ছে এবার হাইকার্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য় সরকার। ভাইরাস নিয়ে দ্রুত রাজ্য় সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।
নিজামুদ্দিন ফেরত কতজন রাজ্য়ে, বিজেপির অভিযোগের জবাব দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী.
বুধবার নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় প্রেক্ষিতে শুনানি ছিল হাইকোর্টে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্য়েম এই শুনানিতে রাজ্য়ের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার শুনানি হয়। মামলাটি দায়ের করেন চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম।
লকডাউনে মদের হোম ডেলিভারি ! খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন পুলিশ কমিশনারের.
তাঁর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,"এ রাজ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্য়াল রিসার্চ-এর গাইডলাইন অনুযায়ী করোনা নিয়ে কাজ হচ্ছে না। এ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য গোপন করা হচ্ছে।' আগামী ১৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে,করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য সরকার সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না, এই অভিযোগে বুধবার আরও একটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
রাজ্যের খাতায় ৭১, কেন্দ্রের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত ৯৯.
এদিন অনলাইনে মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী স্মরজিৎ রায়চৌধুরী। তিনি জানান, রাজ্যে কতজন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, তার সঠিক তথ্য প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কারও মৃত্যু হলে তাঁর অন্ত্যেষ্টির বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে নির্দেশিকা রয়েছে, তাও এ রাজ্যে ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এখানেই থেমে থাকেনি তাঁর অভিযোগনামা। স্মরজিৎ রায়চৌধুরীর অভিযোগ, লকডাউনে রাজ্য়ে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারীদের কাছে সরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌছচ্ছে না। বস্তি এলাকায় করানো প্রচার ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে এখনও করোনা নিয়ে মানুষকে ততটা সচেতন করা যায়নি।