সংক্ষিপ্ত
- অতীতে প্রশ্ন করলে বলেছিলেন সাম্প্রদায়িক কোশ্চেন
- এবার নিজেই নিজামুদ্দিন ফেরতদের তথ্য় দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী
- নিজামুদ্দিন ফেরত ১০৮ জন বিদেশি কোয়ারেন্টাইনে
- নিউ টাউনের হজ হাউসে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে ১৭৭ জনকে
অতীতে প্রশ্ন করলে বলেছিলেন সাম্প্রদায়িক কোশ্চেন। এবার নিজেই রাজ্য়ে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ ফেরতদের নিয়ে তথ্য় দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, রাজ্য়ে নিজামুদ্দিন ফেরত ১০৮ জন বিদেশিকে আমাদের এখানের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্য়ে কেউ মায়ানমার, কেউ ইন্দোনেশিয়া, কেউ বাংলাদেশের নাগরিক। এদের সঙ্গে রয়েছেন বাংলা থেকে নিজামুদ্দিনে যাওয়া ৬৯ জন। সব মিলিয়ে নিউ টাউনের হজ হাউসে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে ১৭৭ জনকে।
লকডাউনে মদের হোম ডেলিভারি ! খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন পুলিশ কমিশনারের..
রোগ কখনও ধর্ম দেখে হয় না। নিজামুদ্দিন নিয়ে প্রশ্ন করায় সম্প্রতি এমনই উত্তর দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু বুধবার মমতা জানান, ১০-১২ দিন আগে একটা খবর পাই। খবর পাওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিজামুদ্দিন ফেরত মোট ১৭৭ জন আছেন বাংলায়। প্রত্যেককে রাজারহাটে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেক বিদেশিও রয়েছেন।
লকডাউনে মদের হোম ডেলিভারি, নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য়.
সম্প্রতি নিজামুদ্দিন নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে সংখ্য়ালঘু তোষণের অভিযোগ করে বিজেপি। দলের রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বাইরে থেকে এসে কিছু লোক এখানে রয়েছেন। অথচ একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই বলেই থেমে থাকেননি মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। দিলীপবাবু বলেন, যার আল্লার ভরসায় এই করোনার বাজারে বসে রয়েছেন, তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন।
রাজ্যের খাতায় ৭১, কেন্দ্রের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত ৯৯..
মমতার বিরুদ্ধে নিজামুদ্দিনন ফেরতদের নিয়ে একই অভিযোগ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মাালব্য। টুইটারে তিনি লেখেন, সারা দেশের জামাতিতের কেস সম্পর্কে সবাই জানতে পারছে। একমাত্র বাংলাই ব্য়তিক্রম। এদের মধ্য়ে কতজন করোনায় আক্রান্ত, কতজনের ওপর পরীক্ষা হয়েছে, তার হিসেব কেউ জানে না। ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য় এই কাজ করছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
যদিও নিজামুদ্দিনের সমাবেশ নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকেই পাল্টা দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, কেন নিজামুদ্দিনের সভার ছাড়াপত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোনও রোগ হিন্দু, মুসলিম দেখে আসে না।