সংক্ষিপ্ত
পুরভোটের দোরগড়ায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ কাজরীর বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় নিজেকে সমাজকর্মী বলে পরিচয় দেওয়া কাজরী কীভাবে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন, প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের।
পুরভোটের দোরগড়ায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee)ভ্রাতৃবধূ কাজরীর বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে। রবিবার ভোট, এদিকে তার আগেই তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Kajari Banerjee ) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে (Kolkata High Court)। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় নিজেকে সমাজকর্মী বলে পরিচয় দেওয়া কাজরী কীভাবে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন, প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ।
উল্লেখ্য কাজরী হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের স্ত্রী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, তাতে দেখা গিয়েছে স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে তাঁদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। কাজরী বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির আর্থিক পরিমাণ ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৯৯ টাকা। তার মধ্যে অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৮৩ টাকা। আর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লক্ষ হাজার ১১৬ টাকা। আর কার্তিকের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৮ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। দুই জনের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ চার কোটি ৮৫ লাখ টাকারও বেশি। কাজরী হলফনামায় জানিয়েছেন, ২০২০-২১ সালের আয়কর রিটার্ন অনুসারে তাঁর বার্ষিক আয় ২৫ লাখ টাকারও বেশি। কাজরীর মোট নয়টি জমি রয়েছে। কার্তিকের নামে মোট চারটি জমি রয়েছে। কাজরীর জমি রয়েছে ওড়িশা, কলকাতার কালীঘাট ও সংলগ্ন এলাকায় এবং বোলপুরে। আর কার্তিকের জমি রয়েছে কলকাতা, পুরী এবং বোলপুরে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই পেশা সমাজ সেবা। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ। সমাজকর্মী বলে পরিচয় দেওয়া কাজরী কীভাবে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন, প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে তিন বার জিতেছেন রতন মালাকার। কিন্তু এবার রতন মালাকারকে টিকিট না দিয়ে কাজরীকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। আর এখানেই চটেছেন বিদায়ী কাউন্সিলর। মমতার ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে পুরভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শেষ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মধ্যস্থতায় তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক পরিবার হলেও এই প্রথমবারই রাজনীতির জন্য সরাসরি ময়দানে নামলেন মমতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাজরী বন্দ্য়োপাধ্যায়। ঘাসফুলের এই পরিবারে টুইস্ট, কাজরীর স্বামী কার্তিক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় হলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। তবে এর পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়টি হল, তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতিও কার্তিক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।