সংক্ষিপ্ত
- নারদ মামলায় নাম জুড়ল এবার মুখ্যমন্ত্রীরও
- বুধবার হাইকোর্টে জোড়া আবেদনের শুনানি
- বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে শাসকদল
- মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে সিবিআই
নারদ মামলায় নাম জুড়ল এবার মুখ্যমন্ত্রীরও। উল্লেখ্য,সোমবার নারদকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া আবদনের শুনানি রয়েছে। শুনানি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হোক, এই দাবিতে হাইকোর্টের নোটিশের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মামলায় অন্যতম পক্ষ করা হল এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকেকে।
আরও পড়ুন, লম্বা ঘুম শেষে উঠলেন ফিরহাদ, খোশ মেজাজে মদন, পছন্দের সিনেমা দেখলেন সুব্রত
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নারদ মামলার শুনানির পরিবেশ এই রাজ্যে নেই। সিবিআইয়ের উপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তদন্তকারীরা। ধৃত চার হেভিওয়েট ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শুনানির দিন নিজাম প্যালেসে চলে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। পাশপাশি শুনানি চলাকালীন আদালতে বসেছিলেন আইনমন্ত্রী সহ একাধিক মন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এই উপস্থিতি বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে বলে হাইকোর্টে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাই তাঁরা মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান।
আরও পড়ুন, 'আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার খর্ব হয়েছে', আজ ফের নারদ-মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
প্রসঙ্গত, সোমবার নারদকাণ্ডে গ্রেফতারির পর নিজাম প্য়ালেসে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, 'আগে আমাকে গ্রেফতার করুন, না হলে সিবিআই দফতর ছাড়ব না'। এর পরেও জল গড়ায় অনেকদূর। এরপরেই কোভিড পরিস্থিতিতে কার্যত লকডাউনের মাঝেই গ্রেফতারির প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূলের বিক্ষোভ শুরু হয়। দুপুর ১২ টার পরে রাস্তায় তৃণমূল কর্মীরা বসে পড়েন। পোস্টার ব্যানার নিয়েও হাজির হন অনেকেই। দুপুর গড়াতেই সিবিআই সদর দফতরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। নিজাম প্যালেসের পর রাজভবনের সামনেও চলে বিক্ষোভ। এখানেই শেষ নয়,নিউটাউনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করে তৃণমুল কর্মী সমর্থকরা। উল্লেখ্য, বুধবার নারদ মামলায় জামিন স্থগিত এবং মামলা বিচারভবন থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়েও শুনানি রয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের আইনজীবিরা নিজেদের বক্তব্য় রাখবেন। নারদমামলার জল যে বহু দূর গড়াবে সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত কেন্দ্রও।