সংক্ষিপ্ত
অনুব্রত মণ্ডলের পাসপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও কেষ্টর দাবি, তাঁর পাসপোর্ট নেই। সূত্রের খবর, অবশ্য এই বিষয়ে তৃণমূল নেতার উপর একেবারেই ভরসা নেই তদন্তকারীদের। সেই কারণে এ বিষয়ে জানতে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে।
একাধিক বার তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু, প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে বড়সড় পদক্ষেপ সিবিআইয়ের। অনুব্রত মণ্ডলের পাসপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও কেষ্টর দাবি, তাঁর পাসপোর্ট নেই। সূত্রের খবর, অবশ্য এই বিষয়ে তৃণমূল নেতার উপর একেবারেই ভরসা নেই তদন্তকারীদের। সেই কারণে এ বিষয়ে জানতে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে। পাসপোর্টের পাশাপাশি অনুব্রতর আধার, প্যান ও এপিক কার্ডও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সে সবই তিনি জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে একাধিকবার তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু, একবারও তিনি হাজিরা দেননি। এরপর ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো তিনি আগের দিনই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। এমনকী, হাজিরা দেওযার জন্য রওনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু, রাস্তায় অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাঁর হৃদযন্ত্রে ব্লকেজ ধরা পড়েছে। পাশাপাশি অণ্ডকোষে সংক্রমণও ধরা পড়েছে। টানা ১৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু, হাসপাতাল থেকে ছুটি মিললেও তাঁকে থাকতে হবে বিশ্রামে। প্রায় ৪ সপ্তাহ তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এখন চিনার পার্কের একটি ফ্ল্যাটে রয়েছেন।
আরও পড়ুন- মধ্যরাতে কেক কেটে জন্মদিন পালন বৈশাখীর, শোভনের দেওয়া উপহার চমকে দেবে আপনাকেও
এদিকে শুক্রবার অনুব্রতকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। তারপর শনিবারই তাঁকে ফের তলব করে সিবিআই। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি যাননি। সিবিআইয়ের কাছে ৪ সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। এরপর রবিবার আবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। একই কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরাও এড়িয়ে যান। তবে এবার শর্তসাপেক্ষে সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে রাজি হন তিনি। সোমবার তদন্তকারীদের কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেতে চালু হোক মর্নিং স্কুল, নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর
চিঠিতে অনুব্রত জানিয়েছেন, ২১ মে-র পর তিনি কলকাতায় থাকবেন। সেই সময় আলোচনা করে জিজ্ঞাসাবাদের স্থান চূড়ান্ত করা যেতে পারে। আর এই চিঠি দেওয়ার পরই অনুব্রতর কাছ থেকে পাসপোর্ট চাইল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের আগে তিনি যাতে কোনওভাবেই দেশে ছেড়ে পালাতে না পারেন তার জন্যই তাঁর পাসপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পাসপোর্ট নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, সিবিআই সূত্রের খবর, বারবার হাজিরা এড়ানোয় পদ্ধতি মেনেই অনুব্রতর পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি তলব করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকে খোঁজ খবর শুরু করেছে তারা।