সংক্ষিপ্ত

কলকাতা পুরভোট মিটতেই রাজ্যের বকেয়া পুরভোটে এবার নজর সবার।   এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বকেয়া পুরসভাগুলির ভোট করানো সম্ভব, এই সংক্রান্ত হলফনামা জমার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট, সেই অনুযায়ী এদিন হলফনামা জমা দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

 

কলকাতা পুরভোট মিটতেই রাজ্যের বকেয়া পুরভোটে এবার নজর সবার। উল্লেখ্য, সবে কলকাতা পুরোভোট শেষ হয়ে ফলাফল বেরিয়েছে। এদিকে এখনও বাকি রাজ্যের আরও পুরসভাগুলির ভোট। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বকেয়া পুরসভাগুলির ভোট করানো সম্ভব, এই সংক্রান্ত হলফনামা জমার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী এদিন হলফনামা জমা দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (WB State Commission)।

 

রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মোট দুই দফায় ভোট করানো সম্ভব। ২২ জানুয়ারি প্রথম দফায় ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে ভোট। প্রথম দফায় বিধানগর, চন্দননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, হাওড়ার ভোট হবে। দ্বিতীয় বাকি সকল পুরভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, হাওড়া এবং বালি পুরসভার পৃথকীকরণ বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। স্বাভাবিকভাবে তাই এখনও হাওড়া পুরভোটের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। মূলত কলকাতা পুরসভা ভোটের সঙ্গে এবার হাওড়া পুর ভোট না হওয়ায় সরব শাসকদল। বিশেষ করে হাওড়া পুরভোটের দেরী হওয়ার জন্য রাজ্যপালকে দায়ী করেছেন  বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ, হাওড়া থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার জন্য বিলে রাজ্যপাল সই করেছেন। আর সেই কারণেই হাওড়ায় ভোট করানো সম্ভব হচ্ছে না। অধ্যক্ষ আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি একরাতের মধ্যে তিনটি কৃষি বিল সই করতে পারেন, তবে রাজ্যপাল কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটাকে আটকে রেখেছেন।  সূত্রের খবর, বিল অনুমোদনের জন্য তিনবার তা রাজভবনে পাঠানো হলেও সই করেননি রাজ্যপাল।

ভোটের দিনক্ষণ স্থির করার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে বিষয়গুলি মাথায় রেখেছে সেটাই হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। সামনের বছর মার্চ এবং এপ্রিলে রয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই ভোটের দিনক্ষণ স্থির করার ক্ষেত্রে সে বিষয়টি মাথায় রেখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এছাড়া প্রথম দফায় য়ে ৬ টি পুরসভায় ভোট করার কথা ভাবা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ইভিএমের কোনও অসুবিধা হবে না বলেই হলফনামায় উল্লেখ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরভোট নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে  কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম প্রার্থী। ইভিএম-র ইস্যুতে এক ব্যক্তি ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি-র ফুটেজে তাকে ইভিএম-এ বারবার বোতাম টিপতে দেখা যায় । ওই ব্যাক্তি কোন দলের হয়ে এই কাজ করেছে, তদন্তে নেমেছে লালবাজার।