সংক্ষিপ্ত

কয়লাপাচারকাণ্ডে আগামী সপ্তাহেই  অভিষেক এবং রুজিরার আবেদন করা মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমন জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হবে।

কয়লাপাচারকাণ্ডে আগামী সপ্তাহেই  অভিষেক এবং রুজিরার আবেদন করা মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। ইডির এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে, দুই সপ্তাহ আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেবার পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য় মামলাটি মেনশন করা সম্ভব হয়নি দেশের শীর্ষ আদালতে। তবে এদিন অভিষেক-রুজিরার আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতের কাছে প্রশ্ন করেন, কবে মামলাটি শুনানির জন্য নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমন জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হবে।

গত সপ্তাহেও কয়লাপাচারকাণ্ডে অভিষেককে দিল্লিতে ডেকেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দিল্লির প্রবর্তন ভবনে তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হয়। তার স্ত্রী রুজিরা এবং শ্যালিকাকাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউই যাননি। এদিকে একের পর এক জেরায় বিরক্ত বন্দ্য়োপাধ্যায় পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, ইডি এইভাবে বারাবার দিল্লিতে তলব করায় অসুবিধা মুখে পড়ছেন তাঁরা।এবার ইডির এই এক্তিয়ারগুলিকেই চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক-রুজিরা। তাঁদের জেরা করা হলে , সেটা যাতে কলকাতাতেই হয়, এটাই দাবি ছিল অভিষেক-রুজিরার।

আরও পড়ুন, 'তৃণমূলে আসতেই হবে', ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্তে নামার আগেই ভাইরাল অডিও

উল্লেখ্য, গতবছরই কোভিড পরিস্থিতি চলাকালীনও ইডি-র তলবে  দিল্লি যেতে পারেননি অভিষেক পত্নী রুজিরা। তিনি সেবার  ইডি মেইল পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর দুই শিশুকে নিয়ে দিল্লিতে একা যাওয়া নিরাপদ নয়। তদন্তকারীরা চাইলে তাঁদের কলকাতার বাড়িতে এসেও জেরা করতে পারেন। তিনি আবেদনে লিখেছেন, আমি দুই সন্তানের মা। এই  সময়ে আমার এবং আমার সন্তানের জন্য অতি ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে যাবে।  যদি আপনারা কলকাতায় আমাকে হাজিরা দিতে বলেন, তাহলে আমার পক্ষে ভাল হয়। ইডি-র দফতরও রয়েছে কলকাতায়। আমি কলকাতায় থাকি। আমি যতদূর বুঝি তাতে আপনাদের মামলাটিও গঠনও হয়েছে কলকাতাতেই।'  কিন্তু এবার পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে প্রথমে শীর্ষ আদালতে মামলাটি গৃহিত হয়নি।  এবার আগামী সপ্তাহেই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।

প্রসঙ্গত, ইডির সমন পেয়ে গত রবিবারই দিল্লি যান অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে এই সমনের পিছনে যে, বিজেপিরই চক্রান্ত রয়েছে, তা দিল্লি যাওয়ার আগে একবার সাংবাদিকদের জানিয়ে যান। সেপ্টেম্বর মাসেও অভিষেককে দিল্লিতে তলব করা হয়। সেবার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেছিলেন, প্রায় ৭ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। আমি আজও আমার অবস্থানে অনঢ়। আমি প্রকাশ্য়ে জনসভা থেকে বলেছিলাম যে, আমার বিরুদ্ধে যদিও কোনও প্রমাণ সামনে বা জনসমক্ষে  আনতে পারে , তাহলে ইডি-সিবিআই-র দরকার নেই।   ফাঁসির মঞ্চে আমাকে বলুন, আমি মৃত্যু বরণ করতে রাজি আছি। আমি আজও একই কথা বলছি। এবং আমি যেকোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। এদিকে কলকাতার মামলায় আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে দিল্লিতে। ঠিক আছে, আমি প্রস্তুত, আমি তো যাচ্ছি। ভোটে হেরে গিয়ে এখন প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতিতে নেমেছে ওরা। এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করা ছাড়া এদের আর কোনও কাজ নেই।'