সংক্ষিপ্ত

  •  মোদীর নেতাজি ভবনে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক
  • শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়
  • প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা অতিথি তালিকা নেতাজি ভবনে পাঠানো হয়
  • অতিথিদের এই তালিকায় আপত্তি জানান সুগত বসু

নরেন্দ্র মোদীর নেতাজি ভবনে যাওয়া নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। কারণ, কলকাতার এলগ্রিন রোডে নেতাজি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদৌ যাবেন কি না তা নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য ছিল না। নেতাজি ভবন সূত্রে খবর শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নেতাজি ভবন-এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। নেতাজি ব্যুরো রিসার্চের চেয়ারম্যান সুগত বসু প্রধানমন্ত্রী আগমনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেন। সুগত বসু জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত করার জন্য তিনি নিজে, নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর ডিরেক্টর এবং সকল কর্তারাই সেখানে থাকবেন। 

আরও পড়ুন- নেতাজির জন্মদিনে তাঁর বই ‘দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল’ নিয়ে অজানা গল্প ...

গোল বাধে যখন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা অতিথি তালিকা নেতাজি ভবনে পাঠানো হয়। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই তালিকায় নাম ছিল একাধিক রাজনৈতিক নেতার। যারা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি-র বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসাবেই পরিচিত। যাদের মধ্যে নাম ছিল কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শমীক ভট্টাচার্যদের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা অতিথিদের এই তালিকায় আপত্তি জানান সুগত বসু। কারণ, নেতাজি ভবনের ঐতিহ্য এবং প্রথা অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি সেখানে প্রবেশ করতে পারেন না। 

অতিতে নেতাজি জন্মদিবসে নেতাজি ভবনে বহু রাষ্ট্রনায়ক এবং রাজ্যপালরা এসেছেন। কিন্তু, তাঁদের সঙ্গে কোনওদিনই কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছিলেন না। জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে ইন্দ্রকুমার গুজরাল এবং আরও অনেকেই ২৩ জানুয়ারি নেতাজি ভবনে গিয়েছিলেন। এরা কেউ-ই কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গী করেননি।
এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সকালেও যে এলগ্রিন রোডে নেতাজি ভবনে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি সেখানে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কেউ নেতাজি ভবনে যাননি। 

আরও পড়ুন- নেতাজি ভবনে বিজেপি-কে আনতে চেয়ে বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী, তীব্র আপত্তিতে বদলালো কর্মসূচি ...

সুগত বসুর আপত্তিতে শেষমেশ নড়ে বসে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা অতিথিদের তালিকা সংশোধন করে পাঠানো হয়। তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম বাদ দেয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। এই বিতর্কে যাদিও কোনও মন্তব্য করতে চায়নি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তারা বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ থাকাটাই স্থীর করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। জানা গিয়েছে, রেসকোর্সে হেলিপ্যাডে অবতরণ করার পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কনভয় রওনা দেবে এলগ্রিন রোডে। সেখানে অনুষ্ঠান শেষ কেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দেবেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে।