সংক্ষিপ্ত
- হাসপাতালগুলিতে সেখানে ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড হবে
- হাসপাতালগুলিতে পৃথক ফিভার ক্লিনিক তৈরি করা হবে
- প্রয়োজনে সমস্ত চিকিৎসক এবং নার্সদের ছুটি বাতিল হবে
- সিসিইউ-তে করোনা সন্দেহভাজন রোগীকে ভর্তি করা যাবে না
কলকাতায় ইতিমধ্য়েই করোনা থাবা বসিয়েছে। রাজ্য়ের প্রথম করোনা আক্রান্ত এই মুহূর্তে আইডি-র বিশেষ আইসোলেশনে ভর্তি। তবে তার মা-বাবা এবং গাড়ির চালকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্য়ে সরকারি আমলার ছেলের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার পরেই জোরকদমে চলছে স্বাস্থ্য় দফতরের যাবতীয় আপৎকালীন ব্য়বস্থার প্রস্তুতি। আর সেই কারণেই করোনা রুখতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠক বসছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। আগামী দিনগুলির জন্য নতুন ৬টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলি কীকী, এবার জেনে নেওয়া যাক-
১) আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে যে হাসপাতালগুলিতে, সেখানে ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। ওই মেডিকেল বোর্ডে উপস্থিত থাকবেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,ফুসফুস বিশেষজ্ঞ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ইএনটি এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
২) করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের জন্য আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। এছাড়াও সম্ভব হলে আইসোলেশন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট করতে হবে। সাধারণ সিসিইউ-তে কোনওভাবেই করোনা সন্দেহভাজন রোগীকে ভর্তি করা যাবে না।
৩) করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের ভিড় নিয়ন্ত্রন করতে হাসপাতালে সম্পূর্ণ পৃথক বিল্ডিং বা ফাঁকা বিল্ডিংয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৪) নতুন ৩টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এ। এছাড়াও মালদা ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে গড়ে তোলা হবে করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র।
৫) প্রতিটি মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পৃথক ফিভার ক্লিনিক তৈরি করা হবে।
৬) আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সমস্ত চিকিৎসক এবং নার্সদের ছুটি বাতিল হবে।