সংক্ষিপ্ত
- আপাতত স্বস্তিরখবর পেল রাজ্য়বাসী
- করোনা আক্রান্তের বাবা-মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ
- শরীরে পাওয়া গেল না করোনা ভাইরাস
- আরও ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকতে হবে দম্পতিকে
আপাতত স্বস্তিরখবর পেল রাজ্য়বাসী। করোনা আক্রান্ত কলকাতার যুবকের বাবা-মায়ের শরীরে পাওয়া গেল না করোনা ভাইরাস। বুধবার সন্ধ্যায় যে রিপোর্ট আসে তাতে রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত ছেলের বাবা-মা করোনা আক্রান্ত হননি বলে জানানো হয়েছে। তবে এখনও ফাঁড়া কাটেনি।
হাসপাতালে না গিয়ে ছেলে মলে, আমলার শাস্তির দাবি নেটিজেনদের
জানা গিয়েছে, আক্রান্তের বাবা-মায়ের পাশাপাশি দুই গাড়ির ড্রাইভারের রিপোর্টও এসেছে নেগেটিভ। যা কিছুটা হলেও আপাত স্বস্তিতে রাখল রাজ্যবাসীকে। কারণ, সোমবারই আক্রান্ত তরুণের মা নবান্নে তাঁর নিজের দফতরে গিয়ে তাঁর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফার্স্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে দম্পতিকে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাঁদের। ফের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা হবে তাদের।
পরিবারে প্রভাবশালী দেখিয়ে সংক্রমণ ছড়াবেন না,রাজ্য়ের আমলাকে সতর্ক করলেন মমতা
সূত্রের খবর, আক্রান্ত তরুণের বাবা নদিয়ার একজন চিকিৎসক। ছেলের সঙ্গে থাকার পর তিনি শিশুর চিকিৎসাও করেছেন। যা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলায়। তাই সেখানেও ৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, লন্ডন থেকে ফিরে স্বাস্থ্য় পরীক্ষা না করিয়ে শপিং মলে ঘুরে বেরিয়েছে মা-ছেলে। আইসোলেশনে না গিয়ে নবান্নে কাজ করেছেন ওই আমলা। পরে ছেলের দেহে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ায় হুঁশ ফিরেছে তাঁর। যদিও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। একজন সরকারি আমলার এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য় তাঁর শাস্তি চেয়েছেন নেটিজেনরা।
নবান্নে করোনা আতঙ্ক, হোম কোয়ারেন্টাইন-এ গেলেন সস্ত্রীক স্বরাষ্ট্রসচিব.
জানা গিয়েছে, নবান্নের স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন করোনা আক্রান্ত তরুণের মা। নবান্ন ও মহাকরণে তাঁর অফিস হওয়ায় গত দুদিন বিদেশ থেকে ফিরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই সমস্ত কাজ সেরেছেন তিনি। এমনকী গুরুত্বপূ্র্ণ বৈঠকে করেছেন নির্দিষ্ট সময়ে। যার এখন বিপাকে পড়েছেন তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা। আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাঁদের পরিবারও।
ইতিমধ্য়েই মহিলার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মলয় মুখোপাধ্যায় নামে স্বরাষ্ট্র দফরের এক কর্মী। একই ভয় পাচ্ছেন নবান্নের আরও এক ধপতরের আধিকারিক ইন্দ্রনীল বাগচির স্ত্রী। তাঁর দাবি, নিজের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য যথাযথ শাস্তি হোক ওই আমলার। এদিকে আমলার এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রীও। এদিন নাম না করে ওই আমলা সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন,বিদেশ থেকে ফিরে আগে স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করান। নিজে থেকেই আলাদা থাকুন। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করবেন না।