সংক্ষিপ্ত
অশোক ও রশ্মিতার সারা শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দেখে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা।
কিছুদূরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। হরিশ মুখার্জি রোডের ওই ভিভিআইপি জোন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ভয়াবহ খুনের ঘটনা। বহুতলের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল গুজরাটি দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ। নিহতের নাম অশোক শাহ ও রশ্মিতা শাহ। পেশায় তাঁরা ব্যবসায়ী ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অশোক ও রশ্মিতার সারা শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দেখে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। তাই ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়েই কি খুন করা হয়েছে দম্পতিকে, প্রশ্ন উঠছে। এদিকে দেখা গিয়েছে বাড়ির গলিতে ঢোকার মুখেই রয়েছে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশের অনুমান সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে অপরাধী অবধি পৌঁছন সম্ভব। আনা হয়েছে স্নিফার ডগও। ওই বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার দূরে গিয়ে থেমেছে স্নিফার ডগ।
সকাল থেকেই ফোনে বাবা মাকে পাচ্ছিলেন না ৫৬ বছরের অশোক শাহ ও ৫২ বছরের রশ্মিতার মেয়ে। ফোনে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় ছুটে আসেন তিনি। তারপরেই দেখেন বাড়ির মূল দরজা খোলা। ভিতরে বাবা ও মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভবানীপুর থানায় খবর দেন। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যান ভবানীপুর থানার পুলিশ। গ্রাউন্ড ফ্লোরের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে দুজনকে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দুজনকে কোপানো হয়েছে। পুলিশের ধারণা একে অপরকে কুপিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন অথবা কেউ এসে তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে যদিও এলাকা সূত্রে জানা যাচ্ছে ঘরের ভেতরে গুলি চলার মতন আওয়াজ পেয়েছে এলাকাবাসী যদিও এখনো পুলিশের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম। লালবাজারে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও উপস্থিত ঘটনাস্থলে।